মঙ্গলে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক নব নালন্দা কর্তৃপক্ষের, ‘নিশ্চিন্তে স্কুলে পাঠান’, আশ্বাস প্রিন্সিপালের
প্রতিদিন | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নব নালন্দা স্কুলে দুর্ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন স্কুলের প্রিন্সিপাল অরিজিৎ মিত্র। বৈঠকে থাকবেন ১০ জন অভিভাবক। দুর্ঘটনার পর সোমবার দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। স্কুল চত্বরে তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেন প্রিন্সিপাল। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে নিশ্চিন্তে স্কুলে পাঠানোর কথা বলেন তিনি।
এদিনের দুর্ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন প্রিন্সিপাল। বলেন, “এটি একটি দুর্ঘটনা। স্কুলে রক্ষণাবেক্ষণের দিকে আমরা নজর রাখি। প্রত্যেক পড়ুয়ার দায়িত্ব আমাদের। আপনারা মঙ্গলবার থেকে স্কুলে বাচ্চাদের নিশ্চিন্তে পাঠাতে পারেন।” এই ঘটনার পরই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অ্যাম্বুল্যান্স চালককে শোকজ করা হয়। কারণ অভিভাবকদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ফি নেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও সোমবার সকালে দুর্ঘটনার পর ছাত্রদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি। প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি। পরে যদিও অ্যাম্বুল্যান্স চালককে শোকজ করা হয়। এদিকে, সূত্রের খবর, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে এই ঘটনায় নব নালন্দা কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ স্কুল প্রাঙ্গণে অষ্টম ও নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রার্থনা চলছিল। সেই সময় পাঁচতলার ৫০৩ নম্বর ঘরের জানলার কাচ ভেঙে পড়ে। নিচে দাঁড়িয়ে থাকা নবম শ্রেণির দুই পড়ুয়া জখম হয়। একজনের হাতে চোট লাগে এবং অপরজনের মাথা ও ঘাড়ে। হাতে চোট লাগা পড়ুয়ার স্কুলেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তাকে তারপর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাথা ও ঘাড়ে চোট লাগা পড়ুয়াকে ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে চিকিৎসা হয়। পরে তাকে আর জি করের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। ছাত্রের শারীরিক অবস্থা বেশ গুরুতর।