তাঁর আদরের বিড়ালকে হয় বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে, আর তা না হলে অযত্ন করে তাকে মরতে দেওয়া হয়েছে। আর এর জন্য দায়ী তাঁর লিভ-ইন পার্টনার! এই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক তরুণী। যার জেরে মামলা রুজু করে 'নিহত' বিড়ালের ময়নাতদন্ত করাল পুলিশ। আপাতত, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করছে তারা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, অভিযোগকারিণী তরুণী বেশ কিছুদিন ধরেই নেতাজি নগর থানা এলাকায় থাকছিলেন। সঙ্গে থাকতেন তাঁর লিভ-ইন পার্টনার এক যুবক। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তাই, বছর পঁচিশের ওই তরুণী নিজের বাড়িতে ফিরে যান।
এমনকী, সপ্তাহ খানেক আগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ করেন তরুণী।
সেই ঘটনার কয়েকদিন পরই আবারও নেতাজি নগর থানায় পৌঁছে যান ওই তরুণী। এবার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা। এবং ছিল একটি বিড়ালের মৃতদেহ! যা দেখে পুলিশ প্রথমে হকচকিয়ে যায়।
তরুণী পুলিশকে জানান, তাঁর আশঙ্কা, যে যুবকের সঙ্গে তিনি লিভ-ইন করতেন, তিনিই হয়তো বিষ খাইয়ে বিড়ালটিকে খুন করেছেন! অথবা, ওই যুবক ঠিক মতো বিড়ালটির যত্ন নেননি। তাই, সেটিকে নিজের প্রাণ দিতে হয়েছে।
এরপরই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই ঘটনায় মামলা রুজু করে পুলিশ। মৃত বিড়ালটির দেহ পাঠানো হয় উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়ার পশু হাসপাতালে। সেখানে ময়নাতদন্ত হওয়ার পর বিড়ালটির দেহ অভিযোগকারিণী তরুণীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা এখন বিড়ালের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। সেই রিপোর্ট এলেই পুরোটা স্পষ্ট হবে। এবং তদন্তের কাজ এগোবে।
এদিকে, অভিযোগকারিণী তাঁর যে লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য বিড়াল খুনের অভিযোগ তুলেছেন, সেই যুবক বেশ কিছু দিন ধরেই বেপাত্তা। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি বিড়াল খুনের লিখিত অভিযোগ করেননি তরুণী। পুলিশের বক্তব্য, সেটা করা হলে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, মাস তিনেক আগে পাটুলি এলাকায় একটি বিড়াল খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেখানকার বাসিন্দা সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষিকা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর পুষ্যি বিড়াল 'বাঘিনী'কে খুন করা হয়েছে।
ওই শিক্ষিকার আশঙ্কা ছিল, তাঁর প্রতিবেশী - আবাসনেরই এক বাসিন্দা বাঘিনীকে খুন করে থাকতে পারেন। সেই বিড়ালটিরও ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।