মেদিনীপুরের স্যালাইন কাণ্ডে CID তদন্তের নির্দেশ। কার গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত করবে বলে জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। স্যালাইনের কারণেই ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি মুখ্য সচিব। তবে প্রসূতি মৃত্যুতে কোনওরকম ‘গাফিলতি’ থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের কারণে চার জন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। এ দিন মুখ্যসচিব জানান, প্রোটোকল ভেঙে প্রসূতিকে অতি দ্রুত অক্সিটোসিন দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যসচিব বলেন, ‘আমরা কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করব না। প্রাথমিক রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে। যাঁদের গাফিলতি রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ১৩ সদস্যের কমিটি ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পরিদর্শনে যান। ওষুধ ও স্যালাইনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে এবার স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশাপাশি প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ভার তুলে দেওয়া হচ্ছে সিআইডির হাতে।
মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া প্রসূতিদের ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিকালস’-এর বিশেষ ব্যাচের RL স্যালাইন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ছিল। মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘটে। বাকি চার জনের মধ্যে একজন কিছুটা সুস্থ হয়েছেন। বাকি তিন জনকে মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।