• মার্ডার কেসে পুলিশের জালে ‘গোস্ট’, ‘Mission Impossible’ অবশেষে সাকসেসফুল
    এই সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • বাড়ি জগদ্দল। কিন্তু দিন কাটত কখনও হাওড়া আবার কখনও শিয়ালদহ স্টেশন। কাঁধে গামছা, হাতে জলের বালতি নিয়ে সারাদিন গাড়ি ধোয়ার কাজে ব্যস্ত থাকতেন তিনি। পাছে পুলিশের চোখে ধরা পড়ে যান, সেই জন্যেই ‘গা ঢাকা’ দেওয়ার নতুন কৌশল। ভাটপাড়া তৃণমূল নেতা অশোক সাউ হত্যাকাণ্ডে সেই অভিযুক্তের পিছনে এঁটুলির মতো লেগেছিল পুলিশ। দু’মাসের নিরলস পরিশ্রমের পর অবশেষে ধরা পড়ল সুমিত পাসওয়ান ওরফে ‘ভূত’।

    গত বছর ১৩ নভেম্বর ভাটাপাড়া থানা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে খুন হন তৃণমূল নেতা অশোক সাউ। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সুজল প্রসাদকে আগেই গ্রেপ্তার করছিল পুলিশ। তবে হাতে পাওয়া যাচ্ছিল না সুমিতকে। এলাকায় সে ‘ভূত’ বলেই পরিচিত। কার্যত ভূতের মতোই এলাকা থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল সুমিত। কিন্তু বাড়িতে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে একবার না একবার তো দেখা করতে আসবেই। সেই আশায় খোঁচর লাগিয়ে রাখেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কাজ হয়নি। 

    এই দু’মাসে মাত্র দু’বার বাড়ি ফিরেছিলেন সুমিত। ক্ষুরধার বুদ্ধির সুমিত দু’বারই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করেই গায়েব হয়ে যেত। তবে চেষ্টা ছাড়েনি তদন্তকারী টিম। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ছবি পাঠিয়ে তল্লাশি চলতে থাকে। একটি সূত্র থেকে খবর পাওয়া যায় সোমবার ভোর রাতেই ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদা পোশাকে এ দিন সুমিতের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়। বাড়িতে হানা দিয়েও হাত থেকে বেরিয়ে যায় সুমিত। তদন্তের স্বার্থে রেল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছিল পুলিশ। শেষমেশ জগদ্দল স্টেশনে এসে সুমিত ধরা পড়েন।

    ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ডিসিপি নর্থ গণেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, অশোক সাউ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সুমিত পাসোয়ান। দীর্ঘদিন ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। সুমিত পাসওয়ানকে জগদ্দল স্টেশন চত্বর থেকে এ দিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজই তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)