মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতিদের চিকিৎসার সময় নিয়ম (SOP) মানা হয়নি। নিজের মুখেই সে কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। চাপের মুখে নতুন তড়িঘড়ি নির্দেশিকা জারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের। জুনিয়র চিকিৎসক বা পিজিটি নয়, অস্ত্রোপচার করতে হবে সিনিয়র চিকিৎসককেই, সোমবার সন্ধ্যায় জারি হলো কড়া নির্দেশিকা।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষা মৌসুমী নন্দী ওই নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, কোনও পিজিটি বা জুনিয়র চিকিৎসকরা কোনও ধরনের অস্ত্রোপচার বা অ্যানাস্থেসিয়া করতে পারবেন না। সিনিয়র চিকিৎসকদেরই করতে হবে। জুনিয়ররা কেবল সহকারী হিসেবে থাকতে পারবেন। নিয়ম ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র চিকিৎসককে শাস্তির কোপে পড়তে হবে বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
সোমবারই মুখ্যসচিব জানান, অস্ত্রোপচার হলে সব সময় এক জন সিনিয়র চিকিৎসকের উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। তাঁদের উপস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তারেরা সেই কাজ করে থাকেন। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতিদের চিকিৎসার সময় সেই নিয়ম মানা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, কোনও এসওপি মেনে চিকিৎসা হয়নি।’ যাঁদের গাফিলতি, তাঁদের কোনওভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে বুধবার রাতে ৫ প্রসূতির অস্ত্রোপচার জুনিয়ররাই করেছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য ভবনের তদন্তের পাশাপাশি এ দিন প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। তবে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ‘গাফিলতি’ আরও স্পষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আরও বিশদে তদন্ত করার জন্যেই সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যসচিব।