স্যালাইনকাণ্ডে সিআইডি তদন্ত, কেউ দোষী প্রমাণিত হলে অ্যাকশন; মুখ্যসচিব
আজ তক | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
CS On Saline Case: মেদিনীপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত। তিনি জানান, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেটা সুনিশ্চিত করাই প্রথম লক্ষ্য। পাশাপাশি এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত, তদন্তে যাঁদের নাম উঠে আসবে, তাঁদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।
মুখ্যসচিব বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে যে সমস্ত অ্যাকশনগুলো নেওয়া হচ্ছে, মৃতদের পরিবারগুলির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। এটা একটা বড় লস। একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে ওই অভিযুক্ত কোম্পানির স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছিল। যার পর উৎপাদন বন্ধ ছিল। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ফের প্রোডাকশন বন্ধ করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে প্রোডাক্টগুলো আমাদের কাছে ছিল। সেগুলো সমস্ত পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। কোনও এমন ড্রাগ বা মেডিসিন ব্যবহার করা যাবে না, যেগুলি টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে। যে ঘটনাটি ঘটেছে আর পরিপ্রেক্ষিতে যে স্যাম্পলগুলি স্যালাইন বা আরএল-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পাঠানো হয়েছে কারও যদি কোনও গাফিলতি থাকে, তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। যেখানে যেখানে খামতি হয়ে গিয়েছে, যাদের গাফিলতি আছে, প্রত্যেকে বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিআইডিকে তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা করছি।
সোমবার মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী ও আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির দাবি, 'রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালে কালো তালিকাভুক্ত স্যালাইন ব্যাবহারের ফলে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করা হোক।' ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলাতে।
এক প্রসূতির মৃত্যু ও ৪ জনের গুরুতর অসুস্থতার ঘটনায় মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছেন পরিজনরা। এমন পরিস্থিতিতে সেই বিতর্কিত স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আপাতত রোগীর পরিজনদের বাইরে থেকে অন্য় ব্র্যান্ডের স্যালাইন কিনে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ফলে বাইরে থেকে নিজেদের খরচেই স্যালাইন কিনতে হচ্ছে তাঁদের।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগ 'মাতৃমা'তে ভর্তি ছিলেন প্রয়াত রোগিনী। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরও ৪ জন। এদিন সেই মাতৃমার রোগীদের সঙ্গে দেখা করেন জুন মালিয়া। চিকিৎসকদের সঙ্গেও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর জানালেন, 'পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে কারও গাফিলতি প্রমাণ হলে। পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেখছেন। তবে আপাতত রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন এনে দিতে হচ্ছে। সবটাই স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তবে আমি এখানে যা দেখেছি সবটাই আবার মুখ্যমন্ত্রীকে বলব।'