• মহাকুম্ভ বনাম গঙ্গাসাগর, পরস্পর রাজ্যের স্পিকার আমন্ত্রিত, মিলবে কি দু’‌পক্ষ?‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পায়নি গঙ্গাসাগর মেলা। যা পেয়েছে প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা। এই ইস্যুতে বাংলার ক্ষোভ তো আছেই। সেই ক্ষোভ দেখা যায় গঙ্গাসাগর বনাম কুম্ভমেলার মধ্যে তুলনায়। কদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা থেকে বলেছেন, গঙ্গাসাগর মেলা কোনও অংশে কম নয় কুম্ভমেলার থেকে। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কুম্ভমেলাকে কোটি কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। আর গঙ্গাসাগর মেলাকে এক পয়সাও দেয় না বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এমন আবহে মহাকুম্ভ মেলায় যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেলেন বাংলার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়।

    এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ অত্যন্ত খুশি। তবে এখন উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলায় মারাত্মক ভিড় হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলায় নেমেছে পুণ্যার্থীর ঢল। আর কুম্ভমেলা উপলক্ষ্যে প্রয়াগরাজে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন পুণ্যস্নানের জন্য। এই বাংলায় যদি ১ কোটি মানুষ আসে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য। তাহলে কুম্ভমেলায় প্রায় কয়েক কোটি মানুষ আসেন। এখানে সাগর আর ওখানে তিন নদীর সঙ্গমস্থল। কোনও তুলনা হয়তো কারও সঙ্গে হয় না। কিন্তু তবু কথিত আছে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার।


    তাই তো উত্তরপ্রদেশের স্পিকার সতীশ মহানা আমন্ত্রণ করতেই তাঁকেও পাল্টা আমন্ত্রণ করলেন বাংলার স্পিকার। যদিও অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত কাজ থাকায় তিনি কুম্ভমেলায় যেতে পারবেন না। কুম্ভমেলায় যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সেটার জন্য শুভকামনা করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে কুম্ভমেলায় শাহী স্নান হবে। তাই এখন থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উত্তরপ্রদেশের স্পিকার সতীশ মহানার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ আসে। তিনি টেলিফোনে অধ্যক্ষকে আমন্ত্রণ জানান।

    আর তখনই পাল্টা পশ্চিমবঙ্গের অধ্যক্ষের পক্ষ থেকেও উত্তরপ্রদেশের স্পিকারকে গঙ্গাসাগর মেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। একে অপরকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেন বলে সূত্রের খবর। উত্তরপ্রদেশের মহাকুম্ভের বিশাল কর্মকাণ্ড চলছে। তাই সতীশ মহানার পক্ষে এখানে আসা সম্ভব নয়। ফলে একে অপরকে আমন্ত্রণ করলেও কেউই কোথাও যেতে পারছেন না। তাই এই বছর অন্তত বাংলা–উত্তরপ্রদেশ মিলছে না। আগামী বছরের আমন্ত্রণে উত্তরপ্রদেশের স্পিকার আসেন কিনা সেটাই দেখার। তবে এই আমন্ত্রণকে কেন্দ্র দুই রাজ্যে স্পিকারের মধ্যে গড়ে ওঠা সৌজন্য অবশ্যই প্রশংসনীয়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)