• নানুরে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধরে অভিযুক্ত দলেরই অঞ্চল নেতৃত্ব
    বর্তমান | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা বোলপুর: নানুর বিধানসভা এলাকায় ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়াল। ওই বিধানসভার শাসকদলের প্রাক্তন সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান চৌধুরী আবুল মাজান ওরফে রিঙ্কু চৌধুরীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল থুপসরা অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। চৌধুরী আবুল মাজানের বিস্ফোরক অভিযোগ, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হওয়ায় কাজল শেখের অনুগামীরা প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তাঁর গাড়ি থামিয়ে বন্দুকের বাঁট, শাবল, বাঁশ দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় বোলপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নানুর থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


    জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবদুল কেরিম খানের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে নানুর থেকে বাসাপাড়া গিয়েছিলেন রিঙ্কু চৌধুরী। অভিযোগ, ফেরার পথে ব্রাহ্মণখণ্ড লাগোয়া এলাকায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গাড়ি থামতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর উপর চড়াও হয়। তাঁকে একটি গোয়ালঘরে নিয়ে গিয়ে বন্দুকের বাঁট, শাবল, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হওয়ার কারণে জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখের অনুগামীরা আমার প্রাণহানির চেষ্টা করেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে তাঁকে নানুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে বোলপুর সুপারস্পেশালিটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।


    ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য পাল্টা রিঙ্কুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, রিঙ্কু এলাকার বহু মানুষের কাছে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলে প্রতারণা করেছেন। এঘটনা সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)