সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: প্রায় ২৫দিন আগে দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সামশেরগঞ্জের রতনপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক সফিউল আলম(৫২)। সেই থেকে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সামশেরগঞ্জ থানার রতনপুর বাগানবাড়ি এলাকায় সফিউল সাহেবের বাড়ি। ২৫দিন আগে এক সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই তিনি ছুরিকাঘাত হন। ঘটনার পরদিনই অভিযুক্ত আহাদ শেখকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তার বাড়িও একই এলাকায়। এখন সে জেল হেফাজতে রয়েছে। স্থানীয়রা তার কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন। সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় গলির মধ্যে অন্ধকারে ওই শিক্ষকের উপর হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষকের মাথায়, কাঁধে ও পাঁজরে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। আশপাশে লোকজন না থাকায় ওই দুষ্কৃতী অনায়াসেই পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা পরে ওই শিক্ষককে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ও পরে কলকাতার আরজি করে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, ওই শিক্ষকের মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আহাদ বিরক্ত করত। ওই যুবককে একাধিকবার সাবধান করেও কাজ না হওয়ায় সফিউল সাহেব মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তি করেন। সেই রোষেই আহাদ ওই শিক্ষকের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
মৃত শিক্ষকের ভাইপো সাহিল খান বলেন, দেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হোক। ওই শিক্ষকের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।