• ভাঙা সাবান দেওয়ায় দোকানি মা-ছেলেকে মারধর, থানায় নালিশ
    বর্তমান | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: একটি সাবান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানিকে মারধরের অভিযোগ উঠল। ক্রেতার মারে জখম মা এবং তাঁর নাবালক পুত্র। অভিযোগের তীর প্রতিবেশী চারজনের বিরুদ্ধে। জখম বধূ ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে সোমবার ময়নাগুড়ি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ময়নাগুড়ি সাপটিবাড়ি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোলোরহাটে। 


    বোলোরহাট এলাকায় শেফালি সরকারের একটি ছোট দোকান রয়েছে।  সোমবার দুপুরে তার নাবালক ছেলে দোকানে বসেছিল। সে সময় অভিযুক্ত সোমা বর্মন সাবান কিনতে আসেন। অভিযোগ, সাবান ভালো নয় বলে সোমা  চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন শেফালি। অভিযোগ সেই সময় সোমা বর্মনের পরিবারের তিনজন পাথর ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তাদের আক্রমণ করে। শেফালির স্বামী নির্মল সরকার পরবর্তীতে তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ময়নাগুড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। 


    অভিযোগ উঠেছে, এর ফাঁকে তাঁদের ছেলেকে একা পেয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন। এমনকি নাবালককে মারধর গড়ায় এবং ভীতি প্রদর্শন করা হয়। ফের তাদের মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। 


    থানায় দাঁড়িয়ে শেফালি বলেন, আমরা আতঙ্কে রয়েছি। সামনে ছেলের মাধ্যমিক। ছেলেকে মারধর করে মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের মারার জন্য আবার হুমকি দিচ্ছে। সে কারণে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলাম। 


    অভিযুক্তদের তরফে সোমা বর্মন বলেন, টাকা দিয়ে সাবান কিনতে গিয়েছি। কিন্তু দেখি সাবান অর্ধেক। সে কারণেই সাবান পাল্টে দিতে বলেছিলাম। আর তাতে ওরা চেঁচামেচি শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করে।  আমি এবং আমার পরিবারের কোনও সদস্য তাদের মারধর করেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ।
  • Link to this news (বর্তমান)