• ডিসেম্বর মাসের বেতন মেলেনি এখনও, সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ অস্থায়ী কর্মীদের
    বর্তমান | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি:  প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সোমবার দুপুরের মধ্যে বেতন পেলেন না উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত অস্থায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। গত ডিসেম্বর মাসের বেতন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে না হওয়ায় গত শুক্রবার হাসপাতাল সুপারকে স্মারকলিপি দিয়ে জানিয়েছিলেন কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট এজেন্সির প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে সকলের ডিসেম্বর মাসের বেতন হয়ে যাবে। সেই মতো বেতন না পাওয়ায় অস্থায়ী কর্মীরা এদিন হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক এবং কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহাকে স্মারকলিপি দেন। 


    হাসপাতাল সুপারের দপ্তরে দীর্ঘক্ষণ অবস্থানও করেন কর্মীরা। এই আন্দোলনে  কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের দার্জিলিং জেলা মেডিক্যাল সেলের সভাপতি মৌসুমি সান্যাল। সুপার বলেন, এই বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এজেন্সির সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনের চুক্তি হয়েছে। তার ভিত্তিতেই বেতনের বিষয়টি এজেন্সি এবং স্বাস্থ্য ভবনই দেখবে। আমরা বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছি। এর বাইরে আমাদের করণীয় কিছু নেই। 


    এদিকে, এদিন এজেন্সির প্রতিনিধি তথা এখানকার ফেসিলিটি ম্যানেজার মিঠু সাহা বলেন, এজেন্সির মালিকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সোমবার রাতের মধ্যে বেতন মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করছেন। তার ভিত্তিতে অস্থায়ী কর্মীরা অবস্থান প্রত্যাহার করে নেন। 


    কর্মীদের তরফে প্রতিমা চক্রবর্তী বলেন, সোমবার রাতের মধ্যে বেতন না হলে মঙ্গলবার থেকে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে কর্মবিরতি কথাও ভাবা হতে পারে। 


    প্রায় আড়াইশো জন কর্মী এই এজেন্সির মাধ্যমে মেডিক্যালের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে কাজ করছেন। এদিকে, এই এজেন্সিকে নিয়ে বিতর্ক প্রথম থেকেই। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ প্রথম থেকেই উঠেছে। সম্প্রতি বেশকিছু কর্মী নতুন করে নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ অপ্রয়োজনে বহু কর্মী নিয়োগ করায় বেতনের ভার বহন করতে সমস্যায় পড়েছে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা দুর্নীতি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রভাবের অভিযোগ রয়েছে। ফেসিলিটি ম্যানেজার তাঁর দায় এড়াতে পারেন না। এ নিয়ে  প্রতিবাদ করতে গেলেই কর্মীদেরকে এজেন্সির স্থানীয় প্রতিনিধির কোপে পড়তে হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি এক কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও মিঠু সাহা এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
  • Link to this news (বর্তমান)