সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। তা নিয়ে রোজ সমস্যা পুরাতন মালদহ শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আর্দশপল্লিতে। নেতাদের বলেও কাজ হয় না। অগত্যা আন্দোলন। সোমবার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার অভিযোগ তুলে স্থানীয় নালাগোলা রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। ভুক্তভোগী বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ত্রিশ মিনিটের বেশি একাধিক যানবাহন আটকে রাখেন। এনিয়ে স্থানীয় সড়কে ব্যাপক যানজট হয়। মালদহ থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তবে এতেই বিক্ষোভকারীরা ক্ষান্ত হয়নি। তারা অবরোধ তুলতে আসা পুলিস আধিকারিকদের ওয়ার্ডের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাগুলি সরেজমিনে দেখান। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নিকাশির জল বের হতে পারছে না। এর ফলে পচা জল রাস্তায় উপচে পড়েছে। এতে কেউ চলাচল করতে পারছে না। খুদেদের কোলে করে স্কুলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পুরসভার পক্ষ থেকে মেশিন দিয়ে জল বের করা হয়। আবারও একই সমস্যা হচ্ছে। ওখানে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এনিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলারকে বলা হলেও সুষ্ঠু সমাধান হচ্ছে না। সেজন্য এদিন তাঁরা বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ করেন। এদিন পথ অবরোধে শামিল ছিলেন শান্তি দেবী, তৃপ্তি রায়চৌধুরী সহ একাধিক মহিলারা। তাঁরা বলেন, এটা অনেক বছরের সমস্যা। এভাবে বসবাস করা সম্ভব না। রাস্তা সহ বাড়িতে ওই জল ঢুকে যাচ্ছে। রাস্তা দিয়ে হাঁটা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অবরোধ করেছি। ওয়ার্ডে বড় নিকাশিনালা দরকার। তাহলে সুষ্ঠুভাবে জল নিকাশি হবে। পুলিস গোটা এলাকা ঘুরে দেখেছে। তাঁরা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
সমস্যাটি স্বীকার করে নেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চন্দনা হালদার। তিনি বলেন,এটি দীর্ঘ বছরের সমস্যা। মানুষ আগে শুধু বর্ষায় অসুবিধার সম্মুখীন হতো। এখন সবসময় হচ্ছেন।
মাঝেমধ্যে মেশিন দিয়ে জল বের করে দেওয়া হয়। ওখানে পুরসভার পক্ষ থেকে বড় নিকাশিনালা ব্যবস্থা পরিকল্পনা রয়েছে। নিকাশিনালার মুখ রাজ্য সড়কের দিকে করা হবে। ওই রাস্তা কেটে নিকাশি করতে হবে। আমরা এখনও অনুমতি পাইনি। পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
এই ব্যাপারে পূর্তদপ্তরের পুরাতন মালদহের নালাগোলা রাজ্যসড়কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সৌরদীপ সাহা বলেন, অনুমতির আবেদেন জমা পড়েছে। কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মালদহ থানার পুলিস জানিয়েছে, আমরা তো আর সমস্যার সমাধান করতে পারব না। নির্দিষ্ট মহলে জানানো হবে।