• সেতু হয়নি, অস্থায়ী কালভার্ট বানিয়ে যাতায়াত চোপড়ায়   
    বর্তমান | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চোপড়া: চোপড়ার ডক ও বেরং নদীতে সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের।  সেতু না হওয়ায় হতাশ এলাকার বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে চলাচলের সুবিধার জন্য বেরং নদী ঘাটে মাটির রাস্তা ও অস্থায়ী কালভার্ট বানিয়েছেন বাসিন্দারা। নদীর জল কমলে নৌকা ছেড়ে যাতায়াত করতে হয় সাঁকোতে। পুরো জল নেমে যাওয়ার পর অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয় রাস্তা। স্থানীয়দের দাবি, বেরং নদীর উপর স্থায়ী সেতু তৈরি হোক। চোপড়ার উত্তর ধামরগছ, ভেরভেরি, সুলতানগছ সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের নদী পারাপার করতে বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে নিজ উদ্যোগে। যদিও বর্ষার সময় নদী পারাপারের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে বেরং নদীতে সাঁকোর বদলে হিউমপাইপ বসিয়ে মাটির রাস্তা তৈরি করেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, এলাকাটির তিনদিকে নদী।  দু’দিকে রয়েছে ডক ও বেরং নদী। নদী পার হয়ে স্কুল, কলেজ, পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিস যেতে হয় বাসিন্দাদের।


    সেতু না থাকায় নদী পারাপারে কখনও ভরসা নৌকা, কখনও সাঁকো, কখনও আবার অস্থায়ী সেতু। দক্ষিণ ধামরগছের বাসিন্দা আনারুল হক জানান, বিভিন্ন মহলে সেতুর দাবি জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টিকবে না জেনেও প্রত্যেক বছর সময় বাঁচাতে নদীর গতিপথ আটকে অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়। 


    ভেরভারি গ্রামের বাসিন্দা স্বপন বিশ্বাস বলেন, এলাকায় তিনটি ঘাট। তার মধ্যে বেরং নদী ঘাটে সেতু তৈরির ব্যাপারে প্রশাসনিক কর্তারা মাপজোখ করে গ্রামবাসীদের মনে আশা জাগিয়েছিলেন বহুদিন আগে। কিন্তু তারপর আর কাজ এগয়নি। একই বক্তব্য সুলতানগছের বাসিন্দা শেখ রহিমউদ্দিনেরও। চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জিয়ারুল রহমান বলেন, বর্ষায় পঞ্চায়েত থেকে নৌকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সমস্যাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি ফজলুল হক বলেন,  উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।


    (চোপড়ায় বেরং নদীতে সেতুর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।-নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)