নিজস্ব প্রতিনিধি, গঙ্গাসাগর ও প্রয়াগরাজ: আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মঙ্গলবার সকাল ৬টা বেজে ৫৮ মিনিট থেকে শুরু হল মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। চলবে বুধবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। পবিত্র এই দিনে গঙ্গাসাগরে নেমেছে ভক্তের ঢল। পুণ্যলগ্নের আগে থেকেই পুণ্যার্থীদের স্রোত বইতে শুরু করেছিল সাগর অভিমুখে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জড়ো হয়েছেন মেলাপ্রাঙ্গণে। ভিড় সামাল দেওয়ার তৎপরতা চোখে পড়ছে প্রতি মুহূর্তে। কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সদাসতর্ক পুলিস-প্রশাসনও। সংক্রান্তি তিথিতে ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই চাপ এড়াতে সোমবারই অনেকে ডুব দিয়েছেন। প্রার্থনা করেছেন কপিলমুনির মন্দিরে। সৈকতজুড়ে অবিরাম চলছে পুজো-অর্চনা। গো দান থেকে শুরু করে মানত পূরণে জলে ডুব দেওয়া—নিজ ছন্দে সেজে উঠেছে গঙ্গাসাগর।
এবার পূর্ণকুম্ভও। তাও খাস প্রয়াগরাজে। চোখে পড়ার মতো ভক্তসমাগম। ঘন কুয়াশা, প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও ‘মোক্ষ’লাভের আশায় স্নান করছেন বহু মানুষ। প্রতি মুহূর্তে রব উঠছে, ‘জয় গঙ্গা মাইয়া’। ১২ বছর পর আয়োজিত পূর্ণকুম্ভে ৪৫ দিনে ৪০ কোটির বেশি পুণ্যার্থী আসবেন বলে আশা প্রশাসনের। সেই কথা মাথায় রেখে মেলা চত্বরকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়েছে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। সোমবারই ১ কোটির উপর পুণ্যার্থী ডুব দিয়েছেন।
পিছিয়ে নেই সাগরও। পুণ্যলগ্ন শুরু হতেই সাগরে ডুব দিতে উদগ্রীব অনেকে। সোমবার রাত থেকে বহু মানুষ অস্থায়ী ছাউনি খাটিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণের আশপাশে থাকতে শুরু করেছেন। কুম্ভ থেকে ঘুরেও অনেকে আসছেন গঙ্গাসাগরে। অনেকে আবার এখান থেকে যাবেন প্রয়াগ। বিশ্বাস একটাই— ‘গঙ্গাসাগরের সর্বত্রই মোক্ষ, জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে।’