গোরু সরান, নবান্নের নির্দেশ সত্ত্বেও শহরে বহাল তবিয়তে চলছে খাটাল
বর্তমান | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্বপ্রতিনিধি, কলকাতা: শহরের বুকে রমরমিয়ে চলছে খাটাল। প্রকাশ্যেই চলছে গোরুকে স্নান করানোর কাজ। গোবর এসে মিশছে নিকাশি নালায়। অভিযোগ, এসবের কারণেই বারেবারে বন্ধ হচ্ছে নর্দমা। যার জেরে বৃষ্টি হলেই জল জমছে রাস্তায়। এমনই অভিযোগ পূর্ব পুঁটিয়ারির বাসিন্দাদের। পূর্বপুঁ টিয়ারিরতালবাগান অঞ্চলে নিয়োগী বাড়িতে রমরমিয়ে চলছে খাটাল। তা নিয়ে জেরবার প্রতিবেশীরা।স্থানীয়দের অভিযোগ, নবান্নের তরফে খাটাল বন্ধ করার কড়া নির্দে শ থাকলেও তা কানে তোলেননি খাটাল মালিক। কলকাতা পুরসভা এলাকায় খাটাল নিষিদ্ধ হলেও কীভাবে চলছে এসব, উঠছে প্রশ্ন। এছাড়াও এই গোয়ালের জন্য বাড়ির ভিতরে সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে। পচা দুর্গন্ধ বের হয়। সব সময় মশা-মাছি ভনভন করে। একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
নিয়োগীদের বাড়ির মধ্যেই রয়েছে খাটাল। সেখানে বাড়ির ভিতরেই নালারধারে একজায়গায় জমানো হয় গোবর।গোরুকে স্নান করানো হয় নিয়মিত। সেই নোংরা জলএবংগোবরবাড়িরনালাদিয়েএসেপড়ে রাস্তারধারের নিকাশি নালায়।ফলে ওই নালাদিয়ে সারাদিনই বয়ে যায় গোবর-জল। কলকাতা পুরসভা এলাকায় খাটাল বেআইনি হলেও এখানে তা বহাল তবিয়তে চলছে। যা গোটা পরিবেশকে দূষিত করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহুবারবারণ করলেও খাটাল মালিক কথা শুনছেন না। উল্টে খাটাল মালিক ও তাঁর পরিবারের লোকজন প্রতিবাদীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশীবলেন, একসময় ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে ফোন করে অভিযোগ জানানো হয়েছিল।সেখান থেকে আধিকারিকরা এসে খাটালের মালিককে গোরু সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাও খাটাল সরানো হয়নি। আগে চারটি জার্সি গোরু ছিল। নবান্ন থেকে নির্দেশ আসার পর এখন একটি জার্সি গোরু রয়েছে।সেই সঙ্গে একটি বাছুরও রয়েছে।
স্থানীয়এক বাসিন্দাসম্প্রতিএই বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে অভিযোগ জানান। মেয়র তাঁকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি লালবাজারের ক্যাটল ডিভিশনে অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের তরফেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে খবর।