নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: চরম অভাবের সংসার। ঠিকানা জোগাড় করে কোনওরকমে হাজির হয়েছিলেন রূপশ্রীর দপ্তরে। কিন্তু, সমস্ত নথিপত্র নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। দপ্তরের কর্মীরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, আবেদনপত্র জমা দিয়ে যান। সব নথিপত্র জমা দিতে হবে। গরিব তরুণী বলেছিলেন, অনেক কষ্টে এদিন এসেছেন। দ্বিতীয়বার বাড়ি থেকে আসার মতো টাকা তাঁর কাছে নেই! তারপর চলেও যান তিনি। পরে সেই তরুণীর ঠিকানা খুঁজে বাড়িতে হাজির হলেন বিধাননগর পুরসভার রূপশ্রী প্রকল্প দপ্তরের কর্মীরা। অবশেষে বাড়িতে বসেই রূপশ্রী প্রকল্পে নথিভুক্ত হলেন ওই তরুণী। প্রশাসনের এই উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত তিনি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বাড়ি বিধাননগর পুরসভার অন্তর্গত ২ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারহাটের গোপালপুরে। বাবা রিকশ চালক। মা পরিচারিকার কাজ করেন। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি সকালে তিনি মাকে নিয়ে গোপালপুর থেকে বিধাননগর পুরসভায় আসেন। কিন্তু, সব নথিপত্র সেদিন নিয়ে যাননি। তখন দপ্তর থেকে বলা হয়, সরকারি গাইড লাইন অনুযায়ী সব নথিপত্র জমা দিতে হবে। বিকেলে আর একবার আসুন। আমরা করে দেব। তরুণী তখন বলেছিলেন, গোপালপুর থেকে বাসে করে দু’জনে সল্টলেকে এসেছেন। বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো টাকা আছে। কিন্তু, ফের দপ্তরে এসে আবেদন করার মতো টাকা নেই।
হঠাৎ সেই সময় আবেদনকারীর কাছে খবর আসে, তাঁর বড়দি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আবেদনপত্র জমা না করেই তরুণী চলে যান। পরে না আসায় ওইদিন বিকেলেই দপ্তরের দায়িত্বে থাকা অংশুমান ধর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা মেয়র পারিষদ রহিমা বিবি মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তরুণীর ঠিকানা খুঁজে দেন তিনি। বাড়িতে গিয়েই তরুণীর আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রকল্পের এককালীন ২৫ হাজার টাকাও তাঁর মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই ক্রেডিট হবে অ্যাকাউন্টে।