সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উচ্ছে চাষিরা। হঠাৎ বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ ও কুয়াশার জন্য ভাইরাস ঘটিত কুঠিয়া বা কুটে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে উচ্ছে গাছ। যে কারণে গাছের পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। এমনকী, ফলনও কম হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নামখানার ফটিকপুর, নাদাভাঙা, চতুর্থ ঘেরি, ঈশ্বরীপুর, দেবনগর, গণেশনগর, শিবনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর উচ্ছে চাষ হয়। আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি সময়ে ধান জমির আল বাঁধে উচ্ছে চারা বসানো হয়। গাছে ফলন ধরে অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি থেকে। প্রথম দিকে প্রায় তিনদিন অন্তর গাছ থেকে উচ্ছে তোলা হয়। মাঘ পড়লে উচ্ছে তুলতে হয় প্রায় প্রতিদিনই। কিন্তু এবার অগ্রহায়ণ মাসে বহু চাষির খেতে কুটে রোগের কারণে সেভাবে উচ্ছে ধরেনি। অথচ গত বছর অগ্রহায়ণ থেকেই চাষিরা বাজারে উচ্ছে বিক্রি করতে শুরু করেছিলেন। এবার ফলন কম হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন চাষিরা।
এ বিষয়ে নামখানার নারায়ণপুরের চতুর্থ ঘেরির উচ্ছে চাষি তপন জানা বলেন, প্রতি বছর দু’বিঘা জমির আলে ৩০০ মাদা উচ্ছের চারা বসাই। গত বছর অগ্রহায়ণ মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকার উচ্ছে বাজারে বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু এবার এখনও উচ্ছে বিক্রি করতে পারিনি। প্রায় প্রতিটি গাছেই রোগ ধরেছে। তাই ফলন খুব কম হয়েছে। ভবিষ্যতে কী পরিস্থিতি হবে, তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে না।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাকদ্বীপ শাখার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অধ্যাপক অরুণকুমার সেনাপতি বলেন, ‘ঘন ঘন আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। তাছাড়া এবার ঠান্ডা কম পড়ায় উচ্ছে গাছ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তার উপর রয়েছে কুয়াশা, যা গাছের পক্ষে ক্ষতিকর। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে নিয়ম করে উচ্ছে খেতে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। এক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করা উচিত। কারণ এক ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলে তাতে ভাইরাসের সহনশীলতা বেড়ে যেতে পারে।’ - নিজস্ব চিত্র