এই সময়, মালদা: বাবলা খুনের পর রেলের জায়গা দখলমুক্ত করতে রাস্তায় নামলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, রেলের জায়গা দখল করে পার্টি অফিস, ক্লাব ঘর তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দুষ্কৃতীদের অবাধ বিচরণ চলছে। তৃণমূল কাউন্সিলারের খুনিরা রেলের পরিতক্ত গুমটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। তাই এগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হন এলাকাবাসীরা।
সোমবার ইংরেজবাজার পুরসভার রেল কলোনি, মহানন্দা পল্লি, সুকান্ত পল্লি এলাকার শতাধিক বাসিন্দারা পথে নামেন। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। পাশাপাশি মালদার ডিআরএমের কাছে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি ডেপুটেশনও দেন তাঁরা। বাবলা খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির বাড়ি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দা পল্লিতে। তার বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই রেলের জায়গা দখল করে তৈরি হয়েছে আড্ডার ঠেক। অভিযোগ এই কাজে মদত ছিল ধৃত তৃণমূল নেতার।
এদিন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রিমি দাস, সুদেষ্ণা দাস, আরতি পাঠক বলেন, ‘বাবলা সরকার খুনের পর থেকে সকলেই আতঙ্কিত। রেল কলোনির বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে বেআইনি কাজকর্ম হচ্ছে। বাইরে থেকে অপরাধীরা এখানে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। এই দখলদারদের উচ্ছেদ করুক রেল।’
মৃত কাউন্সিলারের আপ্ত সহায়ক জয়ন্ত বোস বলেন, ‘বাবলা সরকার খুন হওয়ার পর রেল স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এক রেলকর্মীকে দুষ্কৃতীরা বন্দুক দেখিয়ে ছিনতাই করে। তার মানে বোঝাই যাচ্ছে, রেল কলোনি এখনও দুষ্কৃতীদের দখলেই রয়েছে। রেলের জায়গা দখল করেই চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। খুনের চক্রী নন্দুর রেল কলোনি এলাকায় একাধিক কার্যালয়, ক্লাব ঘর রয়েছে। সেগুলো অবিলম্বে দখলমুক্ত করুক রেল।’
ইংরেজবাজার পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গৌতম দাস বলেন, ঝলঝরিয়া থেকে মহানন্দা পল্লি এই এলাকার অনেকগুলি ওয়ার্ডের মাথা ছিলেন বাবলা। এইসব এলাকার অনেক জায়গা রেলের। যার সিংহভাগ জবর দখল হয়ে নানা ধরনের অবৈধ কাজকর্ম চলছে। নন্দু যে অফিসে বসে সেটিও রেলের। সেখানেও দুষ্কৃতীদের ডেরা রয়েছে। আমরা রেলের কাছে উচ্ছেদ অভিযানের দাবি জানিয়েছি।’ পূর্ব রেলের মালদার ডিআরএম মণীশকুমার গুপ্তা বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’