এই সময়, জলপাইগুড়ি: মেদিনীপুর কাণ্ডের পর ২৩ হাজার বোতল রিঙ্গাল ল্যাকটেড (আর এল) স্যালাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে রোগীর আত্মীয়দের ফেয়ার প্রাইস শপ থেকে ৮০ শতাংশ ছাড়ে অন্য কোম্পানির স্যালাইন কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, আর এল হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্যালাইন। হাইপোভলিমিয়া অর্থাৎ শরীরের জলের পরিমাণ কমে গেলে এই স্যালাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে কালো তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারে মৃত্যুর ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দ্রুত হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ড এবং স্টকে রাখা ওই কোম্পানির আর এল স্যালাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে এই স্যালাইন দৈনিক গড়ে ৬০-৭০ বোতল ব্যবহার করা হয়। এখন আর এল স্যালাইন রোগীর পরিবারের লোকেদের ফেয়ার প্রাইস শপ থেকে কিনে আনতে বলা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কোনপাকড়ির গ্রামের বাসিন্দা মালেকা বানু বলেন, ‘মেয়ে মাদার অ্যান্ড চাইল হাবে ভর্তি আছে। আজ সকালে হাসপাতাল থেকে স্যালাইন কিনে আনতে বলা হয়।’ তিনি জানান, দাম পড়েছে ২০ টাকা করে। কিন্তু দাম লেখা ছিল ১২৬ টাকা।
মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি কল্যাণ খাঁ বলেন, ‘সরকারি নির্দেশ পাওয়ার পর বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং স্টকে থাকা ওই কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হাসপাতালে ২৩ হাজার স্যালাইন ছিল। আপাতত রোগীর আত্মীয়রা ফেয়ার প্রাইস শপ থেকে ৮০ শতাংশ ছাড়ে স্যালাইন কিনছেন।’
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গোটা জেলার জন্য ১২ হাজার আর এল স্যালাইন আসছে। এত কম পরিমাণ স্যালাইন দিয়ে কী ভাবে কাজ চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।