স্বামীজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলন হলদিয়া টাউনশিপ রামকৃষ্ণ সেবায়তনে
বর্তমান | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, হলদিয়া: স্বামীজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মনোজ্ঞ এবং ভাবগম্ভীর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলনের আয়োজন করল হলদিয়া টাউনশিপ রামকৃষ্ণ সেবায়তন। রবিবার সন্ধ্যায় ওই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সন্তুর শিল্পী তরুণ ভট্টাচার্য। শিল্পীকে তবলায় সহযোগিতা করেন পণ্ডিত প্রসেনজিৎ পোদ্দার। সেতারে ছিলেন নিউইয়র্কের বাসিন্দা প্রখ্যাত শিল্পী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী। কণ্ঠসঙ্গীতে খেয়াল পরিবেশন করেন উদীয়মান শিল্পী রূপক মিদ্যা, তবলা সঙ্গতে ছিলেন চিন্ময় মিদ্যা। শিল্পীদের গায়কী ও সুর মূর্ছনায় মোহিত হয়ে যান শ্রোতারা। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলনে ভিড় করেছিলেন শহরের বহু মানুষ। স্বামীজির জন্মজয়ন্তীতে দিনভর রক্তদান শিবির, দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়াদের ব্যাগ উপহার দেওয়া সহ নানা সামাজিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। স্বামীজির জন্মদিনে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য হলদিয়া কোস্টগার্ড, সিআইএসএফ জওয়ানদের পাশাপাশি মহিলাভক্ত ও শিল্প সংস্থার আধিকারিক ও কর্মীরা রক্তদান করেন। সবমিলিয়ে ৮৪জন রক্তদান করেছেন। সবাইকে উৎসাহিত করতে হলদিয়া কোস্টগার্ডের ডিআইজি কমান্ডার আনোয়ার খান নিজেই রক্তদান করেন। ওইদিন ১২৫জন পড়ুয়াকে ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়েছে রামকৃষ্ণ সেবায়তনের পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার প্রবীণকুমার দাস।
সেবায়তনের সভাপতি দুর্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, স্বামীজির জন্মজয়ন্তী মর্যাদার সঙ্গে উদ্যাপন করেছে সেবায়তন। মূলত সামাজিক কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। স্বামীজি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ভীষণ কদর করতেন। তাই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছে সেবায়তন। তিনি বলেন, সেবায়তন সারা বছর ধরে চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য সেবাকাজ করে। সেবায়তনের একটি দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। অ্যালোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি দু’ধরনের চিকিৎসা হয়। শিশুরোগ, স্ত্রী রোগ, দাঁতের রোগ, মনোরোগ, জেনারেল মেডিসিন সহ বিভিন্ন রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখেন। সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিকেল ও সন্ধ্যায় রোগী দেখেন তাঁরা। প্রতি শনিবার বিকেলে রোগীদের বিনামূল্যে সব ধরনের অ্যালোপ্যাথি ওষুধ দেওয়া হয়। সেবায়তনের সম্পাদক কৃষ্ণপদ পাল বলেন, এলাকার দুঃস্থ পড়ুয়াদের ইংরেজি, অঙ্ক ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে কোচিং দেওয়া হয় সারা বছর ধরে। ৪০জন পড়ুয়াকে ওই কোচিং দেওয়া হয় প্রতিবছর। কোচিংয়ে বই, খাতা ও টিফিনের ব্যবস্থাও করা হয়। এছাড়াও কৃতী মেধাবীদের প্রতিবছর স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সেবায়তনের বার্ষিক অনুষ্ঠান কল্পতরু উৎসব, ধর্মসভা ও অন্যান্য অনুষ্ঠান হয় নিয়মিত।-নিজস্ব চিত্র