• বৈধ প্ল্যান ছাড়াই রানাঘাট কলেজের বহুতল নির্মাণের অভিযোগ, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: সরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্মীয়মাণ ভবন বেআইনি বলে অভিযোগ উঠল। শহরের প্রাণকেন্দ্রে রানাঘাট কলেজের নির্মীয়মাণ ভবনকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে জলঘোলা। পুরসভা জানিয়েছে,অনুমোদিত প্ল্যান ছাড়াই মাথা তুলছে রানাঘাট কলেজের বহুতলটি। 


    ১৯৫০ সালে স্থাপিত হয় রানাঘাট কলেজ। বর্তমানে সেই কলেজের মোট পড়ুয়া১৪ হাজার। স্বাভাবিকভাবেই অল্প পরিসরে চাপ অনেক বেশি। বর্তমানে কলেজের বিল্ডিংগুলির মধ্যে রয়েছে সবমিলিয়ে ৭২টি ক্লাস রুম। পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে কলেজের একটি পুরনো আবাসন ভেঙে একটি বহুতল নির্মাণ শুরু হয়। সব মিলিয়ে সাততলা হওয়ার কথা সেই নতুন ভবনটি। যার আনুমানিক খরচ ২৭ কোটি টাকা। ওই ভবন তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে সরকারি একটি সংস্থাই। কিন্তু রানাঘাট পুরসভা সূত্রের খবর, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড বহরমপুর রোড লাগোয়া জাতীয় সড়কের পাশে রানাঘাট কলেজের নির্মীয়মাণ ওই ভবনের নাকি কোনও বৈধ অনুমতি নেই। নির্ধারিত প্ল্যান এবং অনুমোদন পাওয়া তো দূর অস্ত, কলেজ কর্তৃপক্ষ নাকি নিজেদের জমির দলিলই দাখিল করতে পারেনি পুরসভায়। স্বাভাবিকভাবেই পুরসভা অনুমতি দিতে পারেনি। বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও, প্রতিদিন একটু একটু করে মাথা তুলছে কলেজের ভবনটি। অনুমোদনহীন সেই ভবন বিপদের কারণ হলে দায় কার? রয়েছে প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে রানাঘাটের পুর প্রধান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রানাঘাট কলেজের তরফে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র, এমনকী দলিল জমা করতেই পারেনি তারা। তাই বৈধ কাগজপত্রের অভাবে প্ল্যানের ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুরসভায় জমা করলেই, অনুমতি মিলবে। বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট কলেজের অধ্যক্ষ অরূপকুমার মাইতি বলেন, দলিল কলেজের কাছেও নেই। থাকলেও আমরা সেটি বর্তমানে খুঁজে পাচ্ছিনা। জেলা ভূমিদপ্তরকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। তারা আমাদের দলিলের কপি দিলে আমরা পুরসভায় জমা করব। তবে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ।এরই সঙ্গে অরূপবাবু যোগ করেন, কলেজের তরফে নিয়মিত ট্যাক্স দেওয়া হয় পুরসভাকে। তাছাড়া যে সংস্থা কাজ করছে তারাও সরকারি। বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্প তারা করে থাকে।
  • Link to this news (বর্তমান)