নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, দার্জিলিং: রোদ ও বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। মকরসংক্রান্তির আগে সোমবার পাহাড়ে এমন আবহাওয়া উপভোগ করলেন পর্যটকরা। এদিকে, উত্তরবঙ্গের সমতলভাগে দিনভর সূর্যের দাপট থাকলেও সন্ধ্যার পর ঠান্ডার কামড় বেড়েছে। সঙ্গে ছিল তীব্র হাওয়া। আজ, মঙ্গলবার মকরসংক্রান্তির সকাল থেকে কুয়াশার দাপট বৃদ্ধির পাশাপাশি, পাহাড়ের উঁচু উপত্যকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার এমন পূর্বাভাস নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা শীতের কামড় বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন।
পশ্চিমীঝঞ্ঝার জেরে এদিন দার্জিলিং পাহাড়ের সন্দাকফু, টাইগারহিল, দার্জিলিং টাউনে কখনও বৃষ্টি, আবার কখনও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। দফায় দফায় সূর্যেরও ঝলক দেখা গিয়েছে। পাহাড়ের এমন আবহাওয়া চুটিয়ে উপভোগ করছেন পর্যটকরা। কলকাতার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী বলেন, কালিম্পং থেকে দার্জিলিংয়ের ছয় মাইলে আসছিলাম। তখন হঠাৎ গোটা এলাকা মেঘে ঢেকে যায়। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে রাস্তা সাদা হয়ে যায়। পাহাড়ে প্রায়ই বেড়াতে আসি। কিন্তু, কখনও পাহাড়ে এমন রূপ দেখিনি। এটি আমার কাছে একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এদিন দার্জিলিং সেন্ট জোসেফ কলেজে ও রাজভবন চত্বরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল, যথাক্রমে ৪.৮ এবং ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, পশ্চিমীঝঞ্ঝার জেরে এখন পাহাড়ের উঁচু উপত্যাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, রবিবার রাতে শিলিগুড়িতে ছিটেফোটা বৃষ্টি হলেও সোমবার সকাল থেকেই আকাশ ছিল পরিষ্কার। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার অবস্থাও ছিল একই। বিকেলের পর থেকে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে আকাশ মেঘলা হয়। তীব্র ঠান্ডা হাওয়া চলে। আগামী দু’দিন কিছু এলাকায় কুয়াশার দাপট বাড়বে।