• ভাড়াটিয়া, কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে মালিককে মারধরের অভিযোগ
    বর্তমান | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দীর্ঘদিন ধরে দোকান নিয়ে চলছিল মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে বিবাদ। রবিবার ভাড়াটিয়ার কাছে ভাড়া আনতে যান মালিক। তখন মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠল ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসত শহরের চাঁপাডালি মোড় এলাকায়। শেষে দোকানের কর্মচারীদের বের করে তালা লাগিয়ে দেন মালিক। এই মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বারাসত পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দাপুটে তৃণমূল কাউন্সিলার দেবব্রত পালের। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাড়াটিয়া রাজেশ কুমার। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে একটি দোকান কেনেন শান্তি চৌধুরী। তাঁর স্ত্রী দীপ্তি চৌধুরীর নামেই রয়েছে দোকানের মালিকানা। শান্তির বাড়ি দত্তপুকুরের বামনগাছিতে। তিনি চুক্তিতে দোকানটি ভাড়া দেন রাজেশ কুমারকে। রাজেশের চশমার দোকান। অভিযোগ, গত ন’বছর ধরে ভাড়া দেন না রাজেশ। টাকা আনতে গেলে শান্তিকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এমনকী তাঁকে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে প্রমাণ সহ বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শান্তি। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। রবিবার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে শান্তি দোকানের ভাড়া চাইতে আসেন। অভিযোগ, তখনই তাঁকে দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে মারধর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। ঘটনাস্থলে চলে আসে বারাসত থানার পুলিস। সন্ধ্যায় এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এ নিয়ে দোকান মালিক দীপ্তি চৌধুরী বলেন, ন’বছর ধরে ভাড়া দিচ্ছেন না রাজেশ। ভাড়ার টাকা আনতে গেলে স্বামীকে এর আগেও মারধর করা হয়েছে। আমাদেরও হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে। এদিনও তাই করা হয়। আমরা দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। অন্যদিকে, শান্তি চৌধুরী বলেন, আগেও আমরা থানায় অভিযোগ করেছিলাম। পুলিস গুরুত্বই দেয়নি। ভাড়াটিয়া জোর করে দোকান দখল করতে চাইছে। এর পিছনে রয়েছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবব্রত পাল। তাঁর মদতেই আমাকে মারধর করা হয়েছে। রাজেশ কুমার বলেন, রবিবার দোকানে ছিলাম না। শান্তি চৌধুরী কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে এসে কর্মচারীদের দোকান থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। এত বছর যদি আমি ভাড়া না দিয়ে থাকি, তাহলে তিনি আমাকে দোকান চালাতে দিয়েছেন কীভাবে। এনিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার দেবব্রত পাল বলেন, আমার কথাতেই শান্তি চৌধুরী দোকানটা কিনেছিলেন। আমিও টাকা দিয়েছি। তবে, তিনি ওই টাকা ফেরত দেননি। তিনি যেদিন টাকা ফেরত দেবেন, সেদিন দোকান ফেরত দেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী দখল না করে, জোর করে দোকানের দখল নিয়েছেন শান্তি চৌধুরী। আমরাও আইনি পদক্ষেপ করব।
  • Link to this news (বর্তমান)