• নেই হুইল চেয়ার, স্বামীকে পিঠে নিয়েই হাসপাতালে স্ত্রী
    এই সময় | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • নীলাঞ্জন দাস, রায়গঞ্জ

    ইমারজেন্সিতে একটিও হুইল চেয়ার ‍বা স্ট্রেচার নেই। আবার তাড়াতাড়ি টোটো সরিয়ে নিতে ‍বলছেন নিরাপত্তা রক্ষী। উপায় খুঁজে না পেয়ে অগত্যা বয়স্ক স্বামীকে পিঠে নিয়ে হাসপাতালে ঢুকলেন স্ত্রী। সোমবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা। যা ‍নিয়ে বির্তক তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ বর্মন (৫১) দিনকয়েক আগে আবাস যোজনায় ঘর তৈরির কাজ দেখতে গিয়ে হঠাৎ পড়ে যান। ডান পায়ে গুরুতর চোট ‍লাগে তাঁর।

    সোমবার স্ত্রীর সঙ্গে টোটোয় রায়গঞ্জ মেডিক্যালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা করাতে আসেন। স্ত্রী সলিতা বর্মন জানান, সে সময়ে সেখানে কোনও হুইল চেয়ার বা স্ট্রেচার ছিল না। পাশাপাশি তাড়াতাড়ি তাঁদের টোটো সরানোর জন্যও বলা হয়। তাই স্বামীকে নিজের কাঁধে তুলে দোতলার বহির্বিভাগে নিয়ে যান সলিতা। তারপর সেখান থেকেও তাঁকে একই ভাবে সিটি স্ক্যান বিভাগে নিয়ে যেতে হয় বলে অভিযোগ।

    ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় মেডিক্যাল কলেজজুড়ে। মহিলা বলেন, ‘আমার স্বামী একেবারে হাঁটা–চলা করতে পারছেন না। হাসপাতালে একটাও হুইল চেয়ার নেই। উপায় না পেয়ে শেষে স্বামীকে পিঠে চাপিয়ে নিয়ে হাসপাতালের ভিতরে যাই। পরে সিটিস্ক্যান করাতেও একই ভাবে ওকে কাঁধে নিয়ে যেতে হয়েছে।’ পরিতোষ বলেন, ‘এত বড় হাসপাতালে যদি একটাও হুইল চেয়ার না থাকে তবে আমাদের মতো গরীব মানুষ কোথায় যাবে?’

    যদিও পরবর্তীতে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাঁদের। এ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত হুইল চেয়ার রয়েছে। একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে নিশ্চয়ই তা পাওয়া যেত। তাও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ইমারজেন্সিতে সব সময় হুইল চেয়ার ও স্ট্রেচার পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে।’

    এ বিষয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি সরকার মনোনীত রোগী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি হওয়ার পর এখনও আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে কতগুলো হুইল চেয়ার বা স্ট্রেচার রয়েছে কিংবা লাগবে তা আমি জানি না। এই ঘটনা কেন ঘটল তা এমএসভিপি-ই বলতে পারবে।’

  • Link to this news (এই সময়)