• বাড়ির তথ্য মিলবে অনলাইনেই, বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া হাওড়া পুরসভা
    এই সময় | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, হাওড়া: বেআইনি বাড়ি তৈরির প্রবণতা রুখতে এ বার থেকে বিল্ডিং প্ল্যানের সামারি বা ছবি এবং তার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হবে হাওড়া পুরসভার ওয়েবসাইটে। হাওড়া প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিল্ডিং প্ল্যানের পাশাপাশি ওই বাড়িটির কত তলা পর্যন্ত অনুমোদন আছে, সেটাও জানা যাবে পুরসভার ওয়েবসাইট থেকে।’

    কোনও নতুন বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে কারও যদি সন্দেহ হয় যে, ওই বাড়িটির প্ল্যানের অনুমোদন আছে কি না, তা–ও ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিতে পারবেন যে কেউ। এর ফলে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে একটা স্বচ্ছতা আসবে। সাধারণ মানুষও জানতে পারবেন, ওই বাড়ির আইনি বৈধতা আছে কি না।

    অন্য দিকে, পুরসভার বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টেরও কাজ করতে সুবিধা হবে। সুজয় চক্রবর্তী জানান, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ৯৪টা বিল্ডিং–এর প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছিল। ’২৪ এবং ’২৫ আর্থিক বছর অর্থাৎ এই ডিসেম্বর পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত ১৮১টা বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে।

    অনলাইনে প্ল্যান অনুমোদনের ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে অনুমোদনের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। যে সব বিল্ডিং ২০২১-২২–এ বেআইনি ভাবে এক্সটেনশন করা হয়েছে, তার সংখ্যা ছিল ৪৪৯, ২২-২৩শে সেই সংখ্যা ৩৬৪, ২৩-২৪ এ হয়েছিল ৫৬৫ এবং এ বছর সেটা কমে ২৫৭–তে নেমে এসেছে।’

    অর্থাৎ, বেআইনি বাড়ির ক্ষেত্রে পুরসভা যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বেআইনি বাড়ি তৈরি এবং এক্সটেনশনের প্রবণতা অনেকটাই কমেছে।

    যারা বেআইনি ভাবে ফ্লোর বাড়াচ্ছে, সেই ধরনের একটা তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে হাওড়া পুরসভার দু’টো ডেমোলিশন টিমে ১৬ জন কর্মী কাজ করছেন। ডেমোলিশন টিমের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাড়ি ভাঙার পরেও যাঁরা নতুন করে সেই বাড়ি তৈরি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বাড়িতে কোনও স্যানিটারি চেম্বার নেই, অর্থাৎ নোংরা জল সরাসরি ড্রেনে ফেলা হচ্ছে।এর ফলে যাঁরা ড্রেন পরিষ্কার করতে যাচ্ছেন, তাঁদের গায়ে সরাসরি সেই নোংরা জল পড়ছে। এ রকম ১২টা বাড়ির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

    এঁদের ইতিমধ্যেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং সেই নোটিশের ভিত্তিতে তিন জন আলাদা সেপটিক চেম্বার বানিয়ে নিয়েছেন বলে জানান তিনি। আরও চার জন পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৫ দিন সময় চেয়েছেন। বাকি পাঁচ জন এখনও যোগাযোগ করেননি। তাঁদের সঙ্গে পুরসভা আবার যোগাযোগ করবে। তাঁরা যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে পুরসভা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

  • Link to this news (এই সময়)