এই সময়, বারাসত: দীর্ঘ সময় ভাড়া না দেওয়া নিয়ে বিবাদ চলছিল দোকানের মালিক এবং ভাড়াটের মধ্যে। রবিবার ফের ভাড়া চাইতে গিয়েছিলেন দোকানের মালিক। তখন তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠল ভাড়াটের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয় বারাসত শহরের চাঁপাডালি মোড়ে।
অভিযোগ, দোকানের কর্মচারীদের বের করে তালা লাগিয়ে দেন দোকানের মালিক। স্থানীয় কাউন্সিলারের মদতেই এই মারধর বলে অভিযোগ দোকানের মালিক শান্তি চৌধুরীর। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাড়াটে রাজেশ কুমার।
চাঁপাডালি মোড়ে একটি দোকান কিনেছিলেন শান্তি চৌধুরী। স্ত্রী দীপ্তি চৌধুরীর নামেই রয়েছে সেই দোকান। শান্তি থাকেন দত্তপুকুরের বামনগাছিতে। চুক্তির ভিত্তিতে ওই দোকান তিনি ভাড়ায় দিয়েছিলেন রাজেশ কুমার ওরফে মুন্নাকে। রাজেশ সেখানে একটি চশমার দোকান চালান।
অভিযোগ, গত ৯ বছর ধরে দোকানের ভাড়া দেন না রাজেশ। ভাড়া চাইতে গিয়ে বার বার খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে চৌধুরী দম্পতিকে। বিষয়টি নিয়ে শান্তি অভিযোগ জানিয়েছিলেন বারাসত থানায়। কিন্তু সুরাহা হয়নি। রবিবারও স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে শান্তি দোকানের ভাড়া চাইতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে দোকানের ভিতরে মারধর করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দোকানের কর্মচারীদের বের করে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন শান্তি এবং তাঁর স্ত্রী দীপ্তি। ঘটনাস্থলে আসে বারাসত থানার পুলিশ।
দীপ্তি বলেন, ‘ভাড়ার জন্য চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু ৯ বছর ধরে ভাড়া পাচ্ছি না। ভাড়া চাইতে গিয়ে এর আগেও আমার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে বলেই দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।’ শান্তি চৌধুরীর বক্তব্য, ‘বারাসত থানায় অভিযোগ করেছিলাম। শাসক দলের নেতাদেরও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সমাধান মেলেনি। ভাড়াটে এখন জোর করে দোকানের দখল করতে চাইছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের মদতেই মারধর করা হয়েছে।’
ভাড়াটে রাজেশ কুমার বলেন, ‘রবিবার আমি দোকানে ছিলাম না। শান্তি চৌধুরী কয়েকজন মহিলাকে এনে কর্মচারীদের দোকান থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দেন। এত বছর যদি ভাড়া না দিয়ে থাকি, তা হলে উনি আমাকে রেখেছেন কী ভাবে?’
স্থানীয় কাউন্সিলার দেবব্রত পাল বলেন, ‘আমি শান্তি চৌধুরীকে দিয়ে দোকানটা কিনিয়েছিলাম। টাকাও দিয়েছিলাম। উনি সেই টাকা এখনও ফেরত দিতে পারেননি। ফলে দোকান আমাদের এক্তিয়ারেই রয়েছে। উনি যে দিন টাকা দিয়ে দেবেন, তখনই দোকান ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’