এই হলুদ বিক্রি করছেন বাজারে? কারখানায় হানা দিয়ে প্রশ্ন পুলিশকর্মীর...
আজকাল | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চালের গুঁড়ো তার সঙ্গে বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে রান্নায় ব্যবহার করা হলুদ। বিশেষ অভিযানে এক বড় সাফল্য নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার। ভেজাল হলুদ তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে উদ্ধার ২,২০০ কিলো হলুদ ও হলুদ তৈরির সরঞ্জাম। সূত্রের খবর সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া এলাকায় লোকনাথ সাহার হলুদ তৈরির কারখানায় হানা দেয় শান্তিপুর থানার একটি বিশেষ টিম। সেখান থেকেই ভেজাল হলুদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে ২,২০০ কিলো ভেজাল হলুদ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চালের গুঁড়ো–সহ আরও দুই ধরনের পদার্থ দিয়ে এই ভেজাল হলুদ তৈরি হত। সোমবার বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সাফল্য অর্জন করে রানাঘাট পুলিশ জেলা।
তবে হলুদ তৈরির কারখানার মালিক লোকনাথ সাহা এবং পরিতোষ মল্লিককে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক এবং পরবর্তী সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি থাকায় তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিস্ময় প্রকাশ করে এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘এই হলুদ আপনারা বাজারে বিক্রি করছেন!’ আশেপাশের বিভিন্ন হাটে এই ভেজাল হলুদ বিক্রি করা হত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতদের তোলা হয় রানাঘাট আদালতে।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নদিয়ার শান্তিপুর থানায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে রানাঘাট পুলিশ জেলার এসডিপিও সবিতা গোটিয়াল জানান, ‘এই ভেজাল হলুদ তৈরি হত চালের গুঁড়ো এবং ময়দা মিশ্রণ করে। আর সেখানে ব্যবহার করা হত রং। যা স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এইভাবে ভেজাল হলুদ তৈরি করে প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করা হত। এই হলুদ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সেই কারণে এই বিশেষ অভিযান চলছে। আগামী দিনে আরও বড় পদক্ষেপ নেবে রানাঘাট পুলিশ জেলা।’