• মালদায় তৃণমূল কর্মী খুনের পর বিস্ফোরক দাবি স্থানীয় বিধায়কের, প্রশ্নের মুখে পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • মালদায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে থেঁতলে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এই ঘটনায় একদিকে যখন প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে দলের গোষ্ঠীকোন্দলকে দায়ী করছেন স্থানীয় বিধায়ক আবদুল গনি তখন ঘটনার পিছনে কংগ্রেসের মদত রয়েছে বলে দাবি জেলা তৃণমূল সভাপতির। এসবের মধ্যেই এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে জেরা করছে পুলিশ। তবে জাকির শেখসহ মূল অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি তারা। 

    মঙ্গলবার মালদার কালিয়াচকের যদুপুরে খুন হন তৃণমূল কর্মী হাসা শেখ। দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে থেঁতলে খুন করে। গুলি লাগে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ ও তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান এহেসানউদ্দিনের গায়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল জাকির শেখ নামে এক দুষ্কৃতী ও তাঁর সঙ্গীদের দিকে। 

    স্থানীয় বিধায়ক আবদুল গনি বলেন, সুজাপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাদিউল শেখ আমার কোনও কথা শোনেন না। আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না তিনি। জাকির শেখকে ব্লক সভাপতিই দলে নিয়েছেন। মালদা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমি হতাশ। অনেক আগেই পুলিশ সুপারের বদলি দাবি করেছি।’

    যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, ‘জাকির শেখ কংগ্রেসের লোক। ওর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’ 

    তৃণমূল সূত্রে খবর, আবদুর রহিম বক্সির ঘনিষ্ঠ সুজাপুরের ব্লক সভাপতি। তিনিই জাকিরের মতো দুষ্কৃতীকে দলে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নিজে তৃণমূলে যোগদানের পর স্থানীয় দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করাচ্ছে জাকির। যা রুখতে কোনও পদক্ষেপ করেননি ব্লক বা জেলা সভাপতি। 

    ওদিকে এই ঘটনায় ১ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত জাকির বা তার কোনও শাগরেদকে এখনও ধরতে পারেনি তারা। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)