• জেলার সব পঞ্চায়েতে তৈরি হবে নিজস্ব জৈব সার ‘অন্তজ’
    বর্তমান | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: সার তৈরি করবে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বিশেষ সারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অন্তজ’। প্রতি কুইন্টালের দাম নেওয়া হবে এক হাজার ২০০ টাকা। জৈব সারে ফলন ভালো হবে বলে আধিকারিকদের দাবি। প্রতিটি পঞ্চায়েতকেই সার তৈরি করার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি ব্লকে ‘অন্তজ’ তৈরি হচ্ছে। এই সারের চাহিদাও অনেক বেশি রয়েছে। মেমারি-২ ব্লকের একটি পঞ্চায়েত বহুদিন ধরেই এই কাজ শুরু করেছে। তাতে তারা সফল হয়েছে। পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল বেড়েছে। 


    পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, জেলায় জৈব সারের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। পচনশীল পদার্থ দিয়ে সার তৈরি হওয়ায় এলাকা পরিষ্কার থাকবে। দু’টি উদ্দেশ্যে পূরণ হবে। পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল বাড়ার পাশাপাশি চাষিরাও উপকৃত হবেন। জৈব সারে চাষ হলে অরগানিক সব্জি পাওয়া যাবে। রাসায়নিকের ব্যবহার যত কম হবে ততই মঙ্গল হবে। 


    প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পে এই কাজ হচ্ছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতকে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পচনশীল এবং অপচনশীল পদার্থ আলাদা আলাদাভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভলক্ষ্মী বসু বলেন, প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়েও কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, গ্রামের নালা বা রাস্তায় প্লাস্টিক ছড়িয়ে থাকে। সেগুলি নষ্ট হয় না। এছাড়া ওষুধের পাতাও শহরের রাস্তায় পড়ে থাকে। সেগুলি অপচনশীল। প্লাস্টিক এবং ওষুধের পাতা আলাদাভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলি গলিয়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত সার তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। 


    চাষিরা বলেন, জৈব সার ব্যবহার করলে ফলনও ভালো হয়। রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। জৈব সার ব্যবহার করলে জমির মাটিও ভালো থাকবে। পঞ্চায়েত থেকেই চাষিরা সার কিনছেন। এই টাকায় পঞ্চায়েতগুলি অন্য উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবে। পঞ্চায়েত এলাকার কোনও গ্রামে সার তৈরির কারখানা করা হচ্ছে। আর এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন। গুণমান যাচাই করার জন্য বলা হয়েছে। সেটা হওয়ার পর সার প্যাকেটজাত করে চাষিদের বিক্রি করা হবে। তবে পঞ্চায়েতগুলিতে উৎপাদিত সার ইতিমধ্যেই চাষিরা ব্যবহার করেছেন। তাতে তাঁরা উপকৃত হয়েছেন বলেই আধিকারিকদের জানিয়েছেন। তবুও তা ব্যাপকভাবে বাজারজাত করার আগে পরীক্ষা করে নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)