• হবিবপুরের ধুমপুরে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার দাবি
    বর্তমান | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হবিবপুর: সীমান্ত এলাকায় বন্ধ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। মাঝে মধ্যে অসুস্থদের নিয়ে হয়রান হতে হয় বাসিন্দাদের। সেজন্য পুনরায় পরিষেবা চালুর দাবি বাসিন্দাদের। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ হবিবপুর ব্লকের ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্তের তিলাসন এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এক বয়স্ক মহিলা।  রোগীকে প্রায় ১৬ কিমি দূরের গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন পরিবারের লোকেরা। খবর দেওয়া হয় সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানদের। তাঁদের তৎপরতায় বাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। 


    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় প্রায় তিন বছর ধরে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। গ্রামীণ হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিমি ও মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল যেতে হলে পার হতে হয় ৩৬ কিমি। এলাকার এক অ্যাম্বুলেন্স মালিক রাকেশ কুমার রায় জানান, সরকার অ্যাম্বুলেন্স বাবদ যে খরচ দেয়, তাতে তেলের টাকাও ওঠে না। এই অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চালানো অসম্ভব। তাছাড়া সঠিক সময়ে টাকা পাওয়া যায় না বলে  গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, চালকের বেতন দিতে গিয়ে প্রচুর টাকা ধার হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার বিষয়ে হবিবপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বাবর আলির মন্তব্য, প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে।  শুধুমাত্র প্রসূতিদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়। সাধারণ রোগীর ক্ষেত্রে বিনামূল্যে পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। বয়স্ক মহিলা কেন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পাননি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)