জলজীবন মিশনের কাজ চলছে ঢিমেতালে, জলযন্ত্রণা বাসিন্দাদের
বর্তমান | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: লক্ষ্য পূরণ হল না। ২০২৫ শুরু হলেও জলজীবন মিশনের আওতায় গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের পরিষেবা মিলল না এখনও। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্র। দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৬৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ এলাকায় পাইপ লাইনের কাজই হয়নি। জেলার কুমারগঞ্জ, তপন ও গঙ্গারামপুর ব্লকে আত্রেয়ী ও পুনর্ভবা নদীর জলকে পরিস্রুত করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে পিএইচই। জেলার বাকি ৫ টি ব্লক এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে জলজীবন মিশনের কাজ হয়েছে। সেখানেও অধিকাংশ ট্যাপে আসছে না জল। আবার কোথাও অত্যন্ত ধীরগতিতে জল সরবরাহ হচ্ছে।
জেলা পিএইচই সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে জলজীবন মিশনের কাজ চলছে। ২০১৯ সালে প্রকল্প শুরু করলেও ৬ বছরে খুব একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। কুশমণ্ডি উষাহরণ এলাকার বাসিন্দা নিত্য রায় বলেন, পাইপ লাইনের ট্যাপ বাড়িতে পৌঁছেছে। তবে জল প্রতিদিন আসে না। এক বালতি জল ভরতে অনেক সময় লাগে। কাজ দেখার কেউ নেই। দ্রুত সমস্যার সমাধান করুক প্রশাসন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পিএইচই দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, কুমারগঞ্জ ব্লক বড় হওয়ায় একটু বেশি সময় লাগছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব গ্যারান্টি দিয়েছিল জলজীবন মিশনের কাজ শেষ করা হবে ২০২৪ সালের মধ্যে। প্রকল্পের কাজ ঢিমেতালে চললেও বিজেপি নেতৃত্বকে সরব হতে দেখা যাচ্ছে না। জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, কেন্দ্র ঠিকমতো অর্থ বরাদ্দ করছে। এই জেলায় জলজীবন মিশনের কাজ দেখার কেউ নেই। ঠিকাদার সংস্থা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় অধিকাংশ গ্রামে সুতোর মতো জল পড়ছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। প্রকল্পের কাজ কেন শেষ হচ্ছে না, জেলা প্রশাসনের কাছে জবাব চাইব।
জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়ালের কথায়, জলজীবন মিশনের কাজ খুব ধীরগতিতে হচ্ছে। জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে গতি আনার চেষ্টা করব। নাহলে গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড জলকষ্ট হয় বাসিন্দাদের।