• প্রথম দিনে দেখা মিলল ২৯ প্রজাতির পাখির
    বর্তমান | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: মঙ্গলবার শীতের ভোরে পাখি সমীক্ষা ও গণনার কাজে নেমে পড়ল বনদপ্তর। বনদপ্তরের তরফে পাখি সমীক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ভোর থেকে আত্রেয়ী নদীবক্ষ এবং গোফানগর ফরেস্টে জলচর ও পরিযায়ী পাখীদের সন্ধান করা হল। প্রথম দিনে অবশ্য মিলল ২৯ প্রজাতির জলচর পাখি। এদিন মূলত আত্রেয়ী নদীর বক্ষে মিলল রিভার ল্যাপউইং, কমন কাইট, এশিয়ান পাম সুইফ্ট, হোয়াইট থ্রোটেড কিং ফিশার, পাইড কিং ফিশার, এশিয়ান ওপেন বিল স্টর্ক, লিটল ইগ্রেট, গ্রিন স্যান্ডপাইপার, কমন কিংফিশার, গ্রে থ্রোটেড মার্টিন, লিটল রিংগড প্লোভার, টেমনিকস্ স্টিন্ট, হোয়াইট ওয়াগটেল সহ নানা প্রজাতির পাখি। এদিন ওই সমীক্ষক দলে ছিলেন বনদপ্তরের বিট অফিসার সৌরভ সেন, বনরক্ষক মিঠুন বালা এবং বিশেষজ্ঞ হিসেবে ছিলেন সুমন ঘোষ, তুহিনশুভ্র মণ্ডল, তুষার দেব, বিশ্বজিৎ বসাক সহ অন্যান্যরা।


    বালুরঘাট বনদপ্তরের রেঞ্জার তাপস কুণ্ডু বলেন, প্রথম দিনের সমীক্ষায় বেশকিছু প্রজাতির পাখি নজরে এসেছে। তা আমাদের সমীক্ষক দল গণনা করেছে। আগামীতে জেল জুড়ে আরও জায়গায় এই সমীক্ষা চলবে। 


    বনদপ্তর সূত্রে খবর, শীত পড়তেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দলে দলে ছুটে আসছে পরিযায়ী পাখিদের দল। বালুরঘাটে ও আত্রেয়ী নদীর বক্ষ ও নদী তীরবর্তী ফরেস্টগুলিতে বাড়ছে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা। নানা প্রজাতির পাখিগুলির সহজেই দেখা মিলছে। পুকুর জলাভূমিতে এই পরিযায়ী পাখিরা ঘুরছে। এমনকী জেলাতেই নানা প্রজাতির পাখিদের দেখা মিলছে। তাই এই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে এদিনের সমীক্ষায় পাখিদের থাকার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশের যে অভাব রয়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)