ময়নাগুড়িতে নকল রড ভর্তি লরি বাজেয়াপ্ত, পুলিসের জালে দুই
বর্তমান | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: আগে চলছিল লোহার রোড বোঝাই লরি। রাস্তায় যাতে কোনও ঝুটঝামেলা না হয় তারজন্য পিছনে যাচ্ছিল একটি চার চাকার ছোট গাড়ি। কিন্তু এরপরেও শেষরক্ষা হল না। ময়নাগুড়ি শহরের হাসপাতালপাড়া মোড়ে লরিটি দাঁড় করায় প্রকৃত রড কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তাঁরা ফোন করেন ময়নাগুড়ি থানায়। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দু’টি গাড়িই বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে আসে। লরিতে যে রড পরিবহণ করা হচ্ছিল সেই রড জাল বলে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানান কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এরপর লরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। কোম্পানির আধিকারিকরা আসল এবং নকল রডের ফারাক পুলিস অফিসারদের দেখান। অভিযুক্তদের কথায় অসঙ্গতি মেলায় পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে।
নামি কোম্পানির রড জাল করে কারা ব্যবসা করছে, এখনও পর্যন্ত কোথায় কোথায় ওই রড পাঠানো হয়েছে, এসবই ময়নাগুড়ি থানার পুলিস তদন্ত করতে ময়দানে নেমেছে। পুলিস জানিয়েছে, যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে লরিচালকের নাম বিশ্বজিৎ রায়। তার বাড়ি কোচবিহারে। চার চাকা গাড়িতে থাকা একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার বাড়ি শিলিগুড়ির কাছে সাহুডাঙিতে। অভিযুক্তর নাম জয়ন্ত দে।
একটি নামী কোম্পানির লোহার রড জাল করে বাজারে ছাড়া হচ্ছিল। শুধু ময়নাগুড়ি নয় বিভিন্ন জেলায় জাল রড পাঠানো হচ্ছিল। এ খবর পেয়ে প্রকৃত কোম্পানির একটি প্রতিনিধি দল কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে আসে। তারাই তদন্ত শুরু করে। সোমবার বিকেল নাগাদ জাল রড সহ লরিটি তারাই আটক করে ময়নাগুড়িতে। অনেক রাতে অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, দু’জনকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। খোঁজখবর নিচ্ছি কোথায় এই রোড তৈরি হচ্ছে।