নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: মকর স্নান উপলক্ষ্যে গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মঙ্গলবার ভিড় জমালেন পুণ্যার্থীরা। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে গঙ্গার ঘাটগুলিতে স্নান করেছেন লক্ষাধিক মানুষ। এদিন সব চেয়ে বেশি ভিড় হয় অন্নপূর্ণা ঘাট এবং কাঁকিনাড়া ঘাটে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঙ্গার ঘাটগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রতিটি ঘাটে ছিল পুলিসি প্রহরা। গঙ্গায় ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ডুবুরিরা। বরানগর থেকে খড়দহ পর্যন্ত গঙ্গার ঘাটে সকাল থেকে ভক্তদের ভিড় দেখা যায়। পানিহাটিতে চৈতন্য ফেরিঘাট সহ অন্য ঘাটেও পুণ্যস্নান করেন বহু মানুষ। গঙ্গাসাগর মেলার ধাঁচে বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের হেমনগরে ২৪ বছর ধরে চলছে কল্প গঙ্গাসাগর মেলা। হেমনগর ঘাটে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল সাধারণ মানুষের ভিড়। বাঘনা, ঝিলা, কালিন্দি, গোমতী ও রায়মঙ্গল—এই পাঁচ নদীর মোহনায় হেমনগর ঘাটে স্নানযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বহু পুণ্যার্থী। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক ছাড়াও বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, বসিরহাট সহ কলকাতা থেকেও প্রচুর মানুষের সমাগম হয় কল্প গঙ্গাসাগরে। গঙ্গা দেবীর নির্মীয়মাণ মন্দির ঘিরে বসেছে বিশাল মেলা। মাটির হাঁড়ি, মাদুর, গামছার পাশাপাশি রেডিমেড পোশাক সহ শীতবস্ত্র ও ঘর সাজানোর সামগ্রী নিয়েও মেলায় হাজির হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। কপিল মুনির বংশধর হিসাবে পৌণ্ড্র ক্ষত্রিয় সংগঠনের স্টলও রয়েছে কল্প গঙ্গা মেলার মাঠে। এছাড়া, এদিন মকর সংক্রান্ত উপলক্ষ্যে ভিড় উপচে পড়ে বনগাঁ সাতভাই কালীতলা পৌষমেলায়। ৪০০ বছরের বেশি পুরনো এই মেলা। পৌষ মাস জুড়ে চলা মেলার আজ শেষ দিন হওয়ায় ভিড় ছিল যথেষ্ট বেশি।