গুড়ের রসগোল্লা-দইয়ে মন মজেছে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের পুণ্যার্থীদের
বর্তমান | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দম্পতি। আঙুল দিয়ে ইঙ্গিত করছেন শো কেসের দিকে। নিজেরা নিজেদের মুখের দিকে তাকালেন। তারপর এক গাল হেসে স্বামীর বক্তব্য, ‘মন ভরকে খাইয়ে।’ যেদিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাঁরা, সেটি মিষ্টি দইয়ের ভাঁড়। তার উপর সাজিয়ে রাখা গুড়ের রসগোল্লার ট্রে। এঁরা একা নন, আরও অনেকে দোকানের সামনে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছেন। পছন্দের মিষ্টি বেছে নিচ্ছেন। সংক্রান্তির দিন দোকানে ঠাসা ভিড়। সুন্দরবনের গোরুর দুধের তৈরি মিষ্টি খেয়ে মন মজেছে ভিন রাজ্য থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের। দু’নম্বর বিচ রাস্তার কাছে সুন্দরিনী মিষ্টির দোকানের স্টল। সেখানে বহু রকমের মিষ্টান্ন সাজিয়ে রাখা, শুকনো সন্দেশ, কালোজাম, ল্যাংচা, লাড্ডু, কমলাভোগ ইত্যাদি। এসবের মধ্যে আলাদা করে নজর কাড়ছে বাংলার মিষ্টি দই এবং নলেন গুড়ের তৈরি রসগোল্লা। তীর্থযাত্রা সেরে যাঁরা আসছেন তাঁরা খাচ্ছেন তো বটেই প্যাকেট ভর্তি করে বাড়িও নিয়ে যাচ্ছেন। রমেন্দ্র প্রসাদ নামে বিহারের এক বাসিন্দা বলেন, ‘বাংলার মিষ্টি নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। চেখে দেখার সুযোগ হয়নি। এবার প্রথম গঙ্গাসাগরে এসে এই মিষ্টি খেলাম। রসগোল্লা, দই খেয়েছি। বাড়ির জন্য নিয়েও যাচ্ছি।’ উত্তরপ্রদেশের হাতরস জেলা থেকে আসা কিশোর যাদব পরিবারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলেন। প্রশ্ন করতেই বললেন, ‘এত ভালো মিষ্টি কখনও খাইনি। সংক্রান্তির সকালে দারুণ মিষ্টিমুখ হল।’ ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হিমশিম দোকানদার। তিনি বলছেন, ‘আড়াইশো পিস ১০০ গ্রামের ভাঁড় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। পরে আবার অর্ডার দিয়ে আনাতে হয়েছে। রসগোল্লার চাহিদাও ছিল তুঙ্গে। বিকেলে আউট অব স্টক হয়ে যায়।’ সুন্দরিনী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আট জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিক্রি। সোম ও মঙ্গল বিক্রি ভালো হয়েছে। এক লক্ষ টাকারও বেশি মিষ্টি বিক্রি হয়েছে এখনও পর্যন্ত।’