নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নেতাজি নগর থানার বাঘাযতীন এলাকার বিদ্যাসাগর কলোনিতে ভেঙে পুরোপুরি হেলে পড়েছে একটি চারতলা বাড়ি। একতলার সব দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে। মাত্র তিনটি কলামের উপর কোনওমতে দাঁড়িয়ে আস্ত বাড়িটি। পাশের একটি একতলা বাড়ির উপর একপ্রকার ঠেকনা দিয়ে কোনওরকমে অক্ষত রয়েছে। অভিযোগ, ডোবা বুজিয়ে এই আবাসন তৈরি হয়েছিল। সম্ভবত সে কারণেই মাটিতে বসে গিয়েছে সেটি।
আবাসনটি লিফটিং বা উঁচু করার জন্য হরিয়ানার একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সেই কাজ করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। প্রশ্ন উঠেছে, হেলে পড়া বাড়ি লিফটিং করতে গিয়ে ভেঙে পড়ল কেন? বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাড়িটি লিফটিং করার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ভুল ছিল। সেই ভুলের জন্য সম্ভবত বিপত্তি ঘটেছে। বাড়ির বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে আবাসন তৈরি হয়েছিল। আর কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, চারতলা আবাসনটির নির্মাণের সঠিক অনুমোদনই ছিল না।
নিয়ম অনুযায়ী, মাটিতে বসে যাওয়া কিংবা হেলে পড়া বাড়ি বা আবাসন উঁচু করতে কিংবা সোজা করতে বাড়ির ভিত বরাবর চারপাশ কেটে ‘জ্যাক’ লাগানো হয়। যার মাধ্যমে বাড়ি উঁচু হয়। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাড়ির নীচে ভিতের চারদিকে কলাম বরাবর টাইবিম থাকে। সেই টাইবিমের নীচে এই জ্যাকগুলি লাগানোর কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে টাইবিমের উপর দেওয়ালের নীচের অংশ কেটে তার তলায় জ্যাক লাগানো হয়েছিল। এ পদ্ধতি পুরোপুরি ভুল। যার জেরে বাড়ির বাঁ দিকের একের পর এক কলাম পুরোপুরি ভেঙে যায়। আর গোটা বাড়ি ডানদিকে হেলে মাটিতে বসে যায়। একতলার ঘরগুলি ভেঙে গিয়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত। বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, লিফটিং করার সময় শ্রমিকরা বলেছিলেন, বাড়ি তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে। তৈরির আগে সঠিকভাবে সয়েল টেস্টও করা হয়নি।