বর্ষবরণের রাতে সল্টলেকে খুন, ওড়িশা থেকে ধৃত মূল অভিযুক্ত
বর্তমান | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বর্ষবরণের রাতে সল্টলেকের মহিষবাথানে খুন হয়েছিলেন এক যুবক। মারধর করে তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় চারজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস। তবে, মূল অভিযুক্ত পলাতক ছিল। অবশেষে অন্ধ্রপ্রদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ওড়িশার এক প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ট্রানজিট রিমান্ডে মঙ্গলবার ধৃতকে সল্টলেকে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। আজ, বুধবার তাকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। তদন্তের স্বার্থে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিস।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর বর্ষবরণের রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সুব্রত মাজি (২৫)। পেশায় তিনি ছিলেন ফুড ডেলিভারি বয়। মহিষবাথানে একটি মাঠে অনুষ্ঠান চলছিল। ভোররাতে বাড়ির লোকজন খবর পান, সুব্রত অসুস্থ। তাঁর সঙ্গে যে বন্ধুরা ছিলেন, তাঁরাই তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তারপর তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, অসুস্থতা বাড়লে ১ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তদন্তে নেমে পরেরদিন ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস সুব্রতর বন্ধু সবুজ মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর পুলিস জানতে পারে, সুব্রতকে মারধর করেই খুন করা হয়েছে। এমনকী, প্রমাণ লোপাটের জন্য মাঠে পড়ে থাকা রক্ত জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়েছিল। কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, তদন্তে জানা যায়, মৃত্যুঞ্জয় মূল অভিযুক্ত। মারধরের পর সুব্রতকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় সেও হাজির ছিল। কিন্তু, পরে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। এতদিন তার খোঁজ চলছিল। সে ওড়িশার একটি প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে লুকিয়ে ছিল। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস সোমবার সেখানে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে ওই খুনের ঘটনায় যুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হল।