• একমাসে ১২ কেজির উপর কমিয়ে নজির,   ভুঁড়ি ঝরিয়ে পুরস্কৃত বনগাঁর ২ পুলিসকর্মী
    বর্তমান | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: পুলিসের ভুঁড়ি কেন? এই ভুঁড়ি নিয়ে পুলিসকে অনেক সময় টিটকিরি শুনতে হয়। সেজন্য নিজেদের ঝরঝরে, নির্মেদ করে তুলে পুরস্কৃত হয়েছেন দুই পুলিসকর্মী। দু’জনেই বনগাঁ পুলিস জেলায় কর্মরত। একমাসে একজন ১৩ কেজি ওজন কমিয়েছেন। অপরজন কমিয়েছেন ১২ কেজি। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে। কনস্টেবল মিঠুন ঘোষ ও রমেন দাস। একমাসে ১৩ কেজি ওজন কমিয়েছেন মিঠুন। আর রমেন ৩০ দিনে ১২ কেজি মেদ ঝরিয়েছেন।


    বনগাঁ পুলিস জেলার সুপার দীনেশ কুমার মিঠুন ও রমেনের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেছেন। একপাশে একমাস আগের ছবি। অন্যপাশে নির্মেদ চেহারার ছবি দিয়ে গর্বের সঙ্গে পোস্ট করা হয়েছে পুলিস জেলার পক্ষ থেকে। অন্য পুলিসকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতেই তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে দাবি জেলা পুলিসের। এবিষয়ে বনগাঁ পুলিস জেলার পুলিস সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ২০২০ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে থাকাকালীন পুলিসকর্মীদের শারীরিক দক্ষতার উপর বিশেষ জোর দিয়েছিলাম। বনগাঁয় পুলিস আধিকারিকদের শরীর ঠিক রাখতে সেই পন্থাই নিয়েছি। এতেই সাফল্য এসেছে। স্থূলতা কমিয়ে অনেকেই নির্মেদ হয়েছেন। বিশেষ করে দু’জন কনস্টেবল ভালো সাফল্য পেয়েছেন। তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।


    ৫০ জন আধিকারিক ও কনস্টেবলকে স্মার্ট ওয়াচ দেওয়া হয়েছিল। ঘড়ি দেখে দিনে ১০ হাজার পা হাঁটতে বলা হয়েছিল। বিষয়টিতে নজরদারি করা হয়েছে। তাছাড়া তাঁদের ডায়েট চার্ট করে দেওয়া হয়েছে। খেলাধূলার প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এতেই এসেছে সাফল্য।
  • Link to this news (বর্তমান)