দলবিরুদ্ধ কাজ কিংবা শৃঙ্খলাভঙ্গে কাউকে রেয়াত করা হবে না, বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদার কাউন্সিলার দুলাল সরকার খুনের ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘মালদার ঘটনায় তৃণমূলের একজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও কিন্তু এই দলেরই সভানেত্রী। কোনওদিন দেখাতে পারবেন উত্তরপ্রদেশে, গুজরাটে BJP-র কোনও নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন? তদন্ত তদন্তের মতো এগোবে। যদি কেউ ভুল করে থাকে তার উপযুক্ত শাস্তি হবে। দোষী বা অপরাধীর কোনও দল, জাত, ধর্ম হয় না।’
দলের শৃঙ্খলারক্ষা নিয়ে আবারও সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ‘একটা পরিবারেও ঝগড়া থাকে। সেখানে লক্ষাধিক পদাধিকারী বিশিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলে মতভেদ থাকতেই পারে। তার মানে এই নয়, যার যা ইচ্ছে তা-ই করে বেড়াব। যদি কেউ দলকে দুর্বল করতে চায় তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বিগত দিনে ব্যবস্থা নিয়েছে। ভবিষ্যতেও তার ব্যতিক্রম হবে না।’
দলের শৃঙ্খলার উপরে কেউ নয়, এ কথা আবারও স্পষ্ট করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘একজন বুথস্তরের কর্মী যে শৃঙ্খলা মেনে চলবেন, আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও একই জিনিস মেনে চলব। এটা মানুষের দল। মানুষের কাজ করতে গিয়ে কিছু লোক ধরাকে সরা জ্ঞান করে নিজেদের কেউকেটা ভাবে। তাঁদের জন্য তৃণমূলের দরজা আগামী দিন বন্ধ থাকবে। বিনয়ী হতে হবে। মানুষের কাছে হাতজোড় করে থাকতে হবে। যারা ভাবছে এলাকা দখল করে মৌরসিপাট্টা চালাব, তাদের কপালে বিপদ আছে। একই ভুল CPIM করত, BJP করছে। আমরা মানুষের দল, তাই ওই সব দলের সঙ্গে তৃণমূলের তফাৎ রয়েছে।’
শান্তনু সেন এবং আরাবুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বক্তব্য, ‘আরাবুল ইসলাম আগেও দল থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এ বারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেছেন তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর সিদ্ধান্ত শিরোধার্য। আর শান্তনু সেন একজন ডাক্তার, তিনি নিজের মতো করে কোনও সংগঠনকে সমর্থন করতে চাইলে সেটি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু তিনি কোন রোগীকে দেখবেন, কোথায় প্র্যাকটিস করবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।’