গ্রামে রটিয়ে দিয়েছিল, বউ ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। মাকেও তাই বুঝিয়েছিল আউশগ্রামের সোম হাঁসদা। কিন্তু রহস্য ফাঁস করল ছোট্ট মেয়ে— কোথাও পালায়নি মা, বাবা মেরে ঘরের ভিতর মাটি খুঁড়ে পুঁতে দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার যদুগড়িয়ার ঘটনা। স্ত্রীকে মেরে ঘরের ভিতর পুঁতে রেখে বাইরের বারান্দায় দুই সন্তানকে নিয়ে রাত কাটায় অভিযুক্ত। নিহতের নাম লক্ষ্মী হাঁসদা (২৯)। অভিযুক্ত সোম হাঁসদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে আউশগ্রাম থানার পুলিশ। গ্রামের ভিতর এমন হাড় হিম করা ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার লোকজন।
আট বছর আগে দেওয়ানদিঘির জিয়ারা গ্রামের লক্ষ্মীর সঙ্গে বিয়ে হয় সোমের। তাঁদের দুই সন্তান, একজনের বয়স ৬, অন্য জন সাড়ে ৩। সোমের মা পানমণি হাঁসদা জানান, ছেলে ও ছেলের বউয়ের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। ছেলের মদ খাওয়া নিয়ে সংসারে অশান্তি হতো।
পানমণি জানান, মঙ্গলবার সকালে দেখেন ছেলের ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। বৌমা কোথায় জানতে চান। সোম জানায়, বউ পালিয়ে গিয়েছে। পানমণির কথায়, ‘ছেলে আমাকে বলল, তোমার বৌমা পালিয়ে গিয়েছে। একদম চিৎকার কোরো না।’ পানমণির দাবি, তিনি পাল্টা ছেলেকে বলেন, বাচ্চাদের ফেলে কোথায় যাবে? এর পর গ্রামে খোঁজখবর করেন তিনি।
এরই মধ্যে কথায় কথায় নাতি জানায়, বাবা মাকে মেরে ঘরে মাটির নিচে পুঁতে দিয়েছে। ততক্ষণে চারদিকে খবর রটে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে জানা যায়, স্ত্রীকে মাথায় শাবল দিয়ে মেরে খুন করে সোম। তার পর ঘরের ভিতর মাটিতে গর্ত করে পুঁতে দেয়।
পানমণি জানান, গ্রামে পরব হচ্ছে। সকলে তা নিয়েই ব্যস্ত। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছেলে এই কাজ করে থাকতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক বিবাদে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।