• বুধেও তদন্তে CID, মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি অসুস্থ প্রসূতি এখন কেমন আছেন?
    এই সময় | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • তিন প্রসূতিকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হলেও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন রেখা সাউ। প্রায় সাত দিন পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন রেখা। বুধবার তাঁকে জেনারেল বেড-এ দেওয়া হয়। অন্যদিকে রেখার সদ্যোজাত সন্তানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাকে রাখা হয়েছিল NICU-তে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে। সদ্যোজাত এখনও ‘বিপদমুক্ত’ নয় বলেই জানিয়েছেন শিশুর বাবা সন্তোষ সাউ।

    গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে স্ত্রী-কে ভর্তি করেছিলেন বেলদা সংলগ্ন খাকুড়দার বাসিন্দা সন্তোষ। বৃহস্পতিবার ভোরে সিজ়ারের পর পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন বছর ২৪-এর রেখা। প্রসবের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মামনি, নাসরিন, মাম্পি, মীনায়ারা-দের মতো গুরুতর না হলেও, শ্বাসকষ্ট-সহ বেশ কিছু উপসর্গ ছিল তাঁর।

    বাকি ৪ প্রসূতিকে CCU-তে পাঠানো হলেও রেখাকে রাখা হয়েছিল মাতৃমা বিভাগের এক তলায় বিশেষ একটি ওয়ার্ডে। বুধবার রেখাকে জেনারেল বেড-এ দেওয়ায় প্রায় ৭ দিন পর কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন রেখা সাউয়ের পরিবার। রেখার শাশুড়ি পুষ্প সাউ এ দিন দুপুরে জানিয়েছেন, বৌমার সঙ্গে তিনি দেখা করে এসেছেন। কিছুটা সুস্থ রয়েছেন রেখা।

    বুধবার দুপুরেই সিআইডি আধিকারিকরা কথা বলার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন মৃত মামনি রুইদাস ও চিকিৎসাধীন রেখা সাউয়ের পরিবারের সদস্যদের। রেখার পরিবারের তরফে গিয়েছিলেন স্বামী সন্তোষ ও শাশুড়ি পুষ্প। নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর নেওয়া ছাড়াও, আধিকারিকরা সন্তোষকে জিজ্ঞেস করেন, ‘স্ত্রী, সন্তান কেমন আছে জানেন?’ এই সুযোগেই সন্তোষ আধিকারিকদের জানিয়েছেন, ‘স্ত্রী ভালো আছেন। কিন্তু সন্তান কেমন আছে, দু'দিন ধরে খোঁজ পাইনি!’

    সঙ্গে সঙ্গে NICU-র দায়িত্বপ্রাপ্ত RMO-র সঙ্গে সন্তোষের কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। বাইরে বেরিয়ে এসে সন্তোষ বলেন, ‘ডাক্তারবাবু বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আপনার সন্তানের কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু আপাতত সেই ভয় নেই। মঙ্গলবার থেকে ও প্রস্রাব করছে। তবে, এখনও বিপদ কাটেনি!’ সন্তোষ প্রশ্ন তোলেন, ‘ভর্তি হওয়া পর্যন্ত কখনও কোন চিকিৎসক বলেননি, আমার সন্তানের জীবনের ঝুঁকি থাকতে পারে! এতটা বাড়াবাড়ি কী করে হলো?’

  • Link to this news (এই সময়)