আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাঘাযতীনে চারতলা ফ্ল্যাট ভেঙে পড়ার ঘটনায় মুখ খুললেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিপর্যয়ের দায় চাপালেন সিপিএম আমলের সরকারের উপরেই। তাঁর অভিযোগ, বাম আমলে কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই বাড়ি তৈরি হত। তিনি আরও জানান, ফ্ল্যাটটি ভাঙার কাজ চলছে। পুরসভার দক্ষ কর্মীদের সেই কাজে লাগানো হয়েছে।
বুধবার বাঘাযতীন প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ''বাম আমলে কোনও বাড়ির প্ল্যানিং হত না। ফাইলে সব নথি জমা থাকত। আমরা আসার পর কোনও ফাইল খুঁজে পাইনি। বাম আমলে কলোনি এলাকায় অনেক বাড়ি তৈরি হয়েছে। ওই সব বাড়ির অনেক গুলিরই কোনও নথি নেই। সিপিএম যদি সে সময়ে রাজনীতি না-করত, যদি আরও কড়া হত, তাহলে এই সমস্যা হত না।'' তিনি আরও বলেন, ''বাড়ির বৈধ কি না সেই নথি দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের স্থানীয় কাউন্সিলরের নয়। পুরনো বাড়িগুলি নিয়ে সমীক্ষা করছে পুরসভা। বাঘাযতীনের বাড়িটি ইঞ্জিনায়ারদের তত্ত্বাবধানে ভেঙে ফেলা হবে। এলাকাবাসীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।''
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ার পর বাঘাযতীনের ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তৈরি হওয়ার মাত্র ১২ বছরের মধ্যে ভেঙে পড়ল বহুতলটি। ফ্ল্যাটটি বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই হেলতে শুরু করেছিল। সে কথা জানানো হয়েছিল বাড়িটির প্রোমোটারকে। বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেন ওই ফ্ল্যাট বাড়ির প্রোমোটার। মঙ্গলবার যন্ত্র দিয়ে বাড়িটিকে সোজা করার সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেটি। যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, পুরসভাকে না জানিয়েই কাজ চলছিল ওই বাড়িতে, যা বেআইনি। তাই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিনতলা ফ্ল্যাট তৈরির অনুমতি ছিল, কিন্তু এক্ষেত্রে চারতলা ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তাই ভার সামলাতে না পেরে সেটি হেলে গিয়েছে।