• একের পর এক TMC নেতা খুন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অভিষেক বললেন, 'রাজনৈতিক দল বড় হলে এসব স্বাভাবিক'
    আজ তক | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • মালদায় তৃণমূল নেতা খুনের পর আরও একবার প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বুধবার ফলতায় 'সেবাশ্রম' কর্মসূচিতে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,'একটা রাজনৈতিক দল বড় হলে এসব স্বাভাবিক। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি বিজেপিতে নেই? গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি সিপিএম যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ছিল না? গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সব জায়গায় থাকে'। 

    মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূলেরই ইংরেজবাজারের শহর সভাপতি ছিলেন নরেন্দ্রনাথ। ঘটনার পর তাঁকে বহিষ্কার করে দল। তৃণমূল নেতা খুনে তৃণমূল নেতাই গ্রেফতার হচ্ছেন। এই প্রসঙ্গ তুলে 'নিরপেক্ষ তদন্তে'র কথা মনে করালেন অভিষেক। তাঁর ব্যাখ্যা, 'একটা ঘটনা ঘটার পর রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। মালদার দুলাল সরকারের ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের একজন পদাধিকারী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'।

    ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সংযোজন,'দেখাতে পারবেন সিপিএমের আমলে সিপিএমের কোনও নেতা গ্রেফতার হয়েছে? ২০১৭ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশের কোনও বিজেপি নেতা গ্রেফতার হয়েছে? রাজ্য পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীকে বারেবারে বলেছেন, তদন্ত নির্দিষ্ট গতিতেই এগোবে। অপরাধীর কোনও ধর্ম-জাত হয় না। অপরাধীর কোনও রাজনৈতিক দল হয় না। দলমত নির্বিশেষে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাউকে ফাঁসানোর জন্য তদন্ত চলে না। আমি আগেও বলেছি, জটায়ুর তদন্ত করে সিবিআই। আগে থেকে ঠিক করে নেয় এই লোকটাকে ফাঁসাতে হবে'। 

    দলীয় শৃঙ্খলা সবাইকে মেনে চলতে হবে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বার্তা,'দু-চারজনের মধ্যে মনোমানিল্য থাকতেই পারে। এটা স্বাভাবিক। তার মানে এই নয় যে যা ইচ্ছা করে বেড়াব। দলকে দুর্বল করতে চাইলে বিগত দিনে দলীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ব্যবস্থা নিয়েছে। আগামী দিনেও ব্যতিক্রম হবে না। কোনও অপরাধে কেউ যুক্ত থাকলে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন দলমত নির্বিশেষে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না। দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে কেউ নয়। বুথস্তরের কর্মীকে যেমন শৃঙ্খলা মানতে হবে, তেমনই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমাকেও শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে। দলে কেউকেটা কেউ নেই। যারা ভাবে তাদের জন্য আগামী দিনে তৃণমূলের দরজা বন্ধ হবে। বিনয়ী হতে হবে'।  

    আরাবুল ইসলাম ও শান্তনু সেনকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত যে তৃণমূল নেত্রীর, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। তিনি জানান,'দলের শৃঙ্খলার উপরে কেউ নয়। আরাবুল বিগত দিনে গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য কারও পুলিশ করেনি, তৃণমূলের মা-মাটি সরকারের পুলিশ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য'।
  • Link to this news (আজ তক)