বাঘাযতীনে হেলে পড়া বাড়ি ভাঙার কাজ চলল বুধবার দিনভর। কলকাতা পুরসভা এই কাজে হাত লাগিয়েই বুঝেছে, কাজটি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। হাইড্রোলিক ল্যাডার ব্যবহার করে চার তলা ওই আবাসন ভাঙার কাজ চলছে। এ দিকে এই কাজের কারণে আশে পাশের বাড়িগুলির বাসিন্দাদের যাতে কোনও রকম ক্ষতি না হয়, তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র।
এ দিন ডিজি (বিল্ডিং) উজ্জ্বল সরকার ঘটনাস্থলে যান। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, পুর প্রতিনিধি, বরো চেয়ারম্যান। সকলেরই এক দাবি, এটি কলোনি এলাকা হওয়ায়, কোনও স্যাংশন প্ল্যান (অনুমোদন) ছিল না। ফ্ল্যাট মালিকদের কোনও কমপ্লিশন সার্টিফিকেট বা সিসি-ও ছিল না।
এ দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম আসে ঘটনাস্থলে। পরিদর্শন করে তারা। এই রিপোর্ট জমা পড়বে পুরসভায়। অন্য দিকে কলকাতা পুরসভা বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে। ডেভেলপারের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। নেতাজিনগর থানার পুলিশ তাঁকে খুঁজছে।
২০১৩ সালে আবাসনে ফ্ল্যাট কেনেন এক ব্যক্তি। সংবাদমাধ্যমে তাঁর দাবি, সব দেখেশুনেই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। তবে কেমন জিনিসে ফ্ল্যাট তৈরি তা তো ক্রেতার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়— দাবি ওই ব্যক্তির। তিনি জানান, ফ্ল্যাট কেনার চার পাঁচ বছর পর থেকে বাড়িটি হেলতে শুরু করে। বসে যাচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল। প্রোমোটারকে জানান বিষয়টি।
বেশ কিছু দিন ধরে এ নিয়ে তদারকি চলছিল। ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন আবাসন দেখতে। মাস ছ’য়েক আগে প্রোমোটার এসে জানান, নিজের খরচে ফ্ল্যাট ঠিক করে দেবেন। এর পর থেকেই তাঁরা ভাড়া থাকছিলেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটে নাগাদ বাঘাযতীন সংলগ্ন বিদ্যাসাগর কলোনিতে এই আবাসন বিপর্যয় ঘটে।