বাঘাযতীনে বহুতলকাণ্ডে পুরসভাকে নিশানা সুকান্তর, মেয়র ফিরহাদের পদত্য়াগের দাবি
আজ তক | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় এবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বাম আমলের ঘাড়ে দায় ঠেলার চেষ্টা করলেন যাদবপুরের তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'দায়িত্ববান পুরসরভার কর্মীদের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা বাড়িটাই ভেঙে ফেলা হবে। সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা ওখানে রয়েছেন। কলোনি এলাকায় অনেকেই নিজেরাই বাড়ি করে নিয়েছেন। কোনও প্ল্যান না করেই। এই পাপের বোঝা আমাদের নয়, বাম আমল থেকে চলছিল। এখন সেটা আমাদের বইতে হচ্ছে। বাম আমলে কিছু তো অনলাইন ছিল না। আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি তখন ওই সব ফাইলই কিছু পাচ্ছি না। আমরা দায় চাপাচ্ছি না। বামেরা ট্র্যাডিশনটা শুরু করেছিল। সেই অভ্যাস তো রয়ে গেছে। সেই সময় কঠোর হলে আজ এসব হত না। অনেক ভুল প্ল্যান মঞ্জুর হয়েছে। এখন এসব ন্যাকা সেজে কী হবে।' এদিকে গোটা ঘটনায় কলকাতার মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, কলকাতা কর্পোরেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য যে কর্পোরেশনগুলো আছে সেই প্রত্যেকটা কর্পোরেশনে একটাই নীতি চলে, ফেলো কড়ি মাখো তেল। আপনার যে কোনও ধরনের প্ল্যান সব পাস হয়ে যাবে। তৃণমূলের লোভের জন্য কিছু মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। মেয়রের পদত্যাগ করা উচিত।
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার বাঘাযতীনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বহুতল। আর সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছেন সকলে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই বহুতলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। যার জেরে মাথায় হাত বহুতলের বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার দুপুরে বাঘাযতীনে বিদ্যাসাগর কলোনি এলাকায় চারতলা ওই বহুতলটি আচমকাই হেলে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কয়েক দিন ধরেই বহুতলটি হেলে পড়তে শুরু করেছিল। প্রোমোটারকে বিষয়টি জানালে জ্যাক লাকিয়ে বাড়ির ভিত থেকে উঁচু করে সোজা করার জন্য এক সংস্থাকে বরাত দেন তিনি। কাজ চলায় বহুতলটি খালি করে আবাসিকদের ভাড়া বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার মেরামতির কাজ চলার সময়ই হেলে পড়ে বহুতলটি। ভেঙে পড়ে বহুতলের একাংশ।
এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ, জলাজমির উপর বহুতলটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই এই পরিণতি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন- এটা নতুন কিছু নয়। বছর বছর এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে সেটা সবাই জানে। আমাদের কলকাতা কর্পোরেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য যে কর্পোরেশন গুলো আছে সেই প্রত্যেকটা কর্পোরেশনে একটাই নীতি চলে, ফেলো কড়ি মাখো তেল। আপনার যে কোনও ধরনের প্ল্যান সব পাস হয়ে যাবে। তৃণমূলের লোভের জন্য কিছু মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। মেয়রের পদত্যাগ করা উচিত। এত বড় কনস্ট্রাকশন হচ্ছে কাউন্সিলর পয়সা পায়নি এটা মেনে নিতে হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের উচিত ওই কাউন্সিলরকে কান ধরে জেলের ভিতরে ঢোকানোর। কিন্তু উনি ঢোকাবেন না, সেটাও আমি জানি।