এখনও সঙ্কটমুক্ত নন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন প্রসূতি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিন জনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল কলকাতায়। আপাতত ১০টি বিভাগের ১৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড তাঁদের চিকিৎসা করছেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, নাসরিনকে পরীক্ষামূলক ভাবে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে অক্সিজেন সাপোর্টে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মাম্পি এখনও ভেন্টিলেশনে আছেন এবং মিনারা গোড়া থেকেই অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন এসএসকেএমে। কারও প্রস্রাবের মাত্রা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফলে কিডনির চিকিৎসা চলছে। মাম্পি ও মিনারার ফুসফুস, পেট ও পায়ের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। সংক্রামক রোগের চিকিৎসকও তিন জনকে পরীক্ষা করেছেন।
গত বুধবার সন্তান জন্মের পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন প্রসূতি। অভিযোগ, স্যালাইন নেওয়ার পরেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যুও হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত রবিবার রাতে মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসা হয়েছিল।
কলকাতায় আনার পরেই পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়। পরে মেডিক্যাল বোর্ডে যুক্ত হন আরও ন’জন চিকিৎসক। বুধবার পর্যন্ত তাঁদের শারীরিক অবস্থার বিশাল পরিবর্তন হয়নি বলেই খবর। তবে সর্বক্ষণ তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রেখা সাউ। সাত দিন পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন রেখা। বুধবার তাঁকে জেনারেল বেড-এ দেওয়া হয়।