• সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল মামনির সন্তান, বাবার প্রশ্ন, ‘কী করে মানুষ করব ওকে?’
    এই সময় | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন ১০ জানুয়ারি। ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন না কি ডাক্তারদের গাফিলতি? মায়ের মৃত্যুর কারণ কী? যা নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড়। চলছে সিআইডি তদন্ত। মৃত মামনি রুইদাস রেখে গিয়েছেন তাঁর একরত্তিকে। শিশুটিও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অবশেষে বুধবার বাড়ি ফিরল শিশুটি। ছোট্ট ছেলেকে কোলে নিয়ে বাবা দেবাশিস রুইদাসের একটাই প্রশ্ন, ‘কী করে মানুষ করব ওকে?’

    সোমবার, ১৩ জানুয়ারি হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল স্যালাইন কাণ্ডে মৃত মামনি রুইদাসের পুত্রসন্তান অনুপ। দুপুর নাগাদ তাকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সেই মাতৃমা বিভাগেই। বুধবার বিকেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল সে। সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দেবাশিস বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই মা’র ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হলো আমার অনুপ। এর দায় কার?’

    প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারি রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের 'মাতৃমা' বিভাগে সিজ়ারের পরই একে একে অসুস্থ হয় ৫ প্রসূতি। ৪ জনকে ভর্তি করা হয় CCU-তে। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রেখেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় মামনি রুইদাস (২২)-এর। ১০ জানুয়ারি বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মামনি, নাসরিন, মাম্পি, মীনায়ারা-র সন্তানদের। এর মধ্যেই ১৩ জানুয়ারি ফের অসুস্থ হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয় মামনির সন্তান।

    মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগের NICU-তে রেখে চিকিৎসা চলে ছোট্ট অনুপের। প্রসঙ্গত, মামনি-দেবাশিসের ৪ বছরের এক কন্যাসন্তান (অনু)-ও আছ। দুই শিশু এ ভাবে মাতৃহারা হওয়ায় মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারের। দেবাশিস বলেন, ‘ছেলেটি জন্মের পর থেকেই মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত।’

  • Link to this news (এই সময়)