পাইপলাইন বসানোর তিন বছর পর কলে জল, ধামসা মাদল বাজিয়ে উৎসব সোনামুখীতে
বর্তমান | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: পাইপলাইন বসানোর তিন বছর পর কলে জল পড়তেই ধামসা মাদল বাজিয়ে আনন্দে মাতলেন সোনামুখীর দক্ষিণশোল গ্রামের বাসিন্দারা। এবার আর দূষিত জল খেতে হবে না। সেই আনন্দে পুরুষদের বাজানো ধামসা মাদলের তালে নাচলেন গ্রামের মহিলারা। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিন বছর আগে পাইপলাইন বসানো হলেও পানীয় জল আসেনি। বাধ্য হয়ে কুয়োর জল খেতে হচ্ছিল। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদনের পর অবশেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে জল সরবরাহ করা হল।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায় বলেন, দক্ষিণশোল গ্রামের বাসিন্দারা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। সেকথা জানার পরেই সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা হয়। তারা তড়িঘড়ি গ্রামে গিয়ে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের জন্য তিন বছর আগে সাবমার্সিবল পাম্প সহ পাইপলাইন বসানো হয়। কিন্তু তারপর জল আর পড়েনি। বারবার বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাসিন্দারা কুয়োর জল খেতে বাধ্য হচ্ছিলেন। তাতে অনেকেরই পেট খারাপ হচ্ছিল। দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বাসিন্দারা। গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার খুবই দরিদ্র। পানীয় জলের বিকল্প ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রকল্পটি মেরামতি করা হয়। বুধবার থেকে কল দিয়ে পানীয় জল পড়ছে। তারপরই গ্রামের সকলে মিলে আনন্দে মেতেছেন। ধামসা মাদল বাজিয়ে নৃত্যানুষ্ঠান করছেন।
গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা বেসরা বলেন, স্নান থেকে শুরু করে কাপড় কাচা, গোরু বাছুরকে খাওয়ানো থেকে রান্না ও বাসন ধুতে কুয়োর জলই ভরসা। আবার সেই জল নিজেরাও খাচ্ছিলাম। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর কল দিয়ে জল পড়ছে। এতে আমরা ভীষণ খুশি। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণশোল গ্রামে জলের ট্যাঙ্ক ও পাইপলাইন তৈরিতে সমস্যা ছিল। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে তা ঠিক করার জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়। তা মেরামত করা হয়েছে। কল দিয়ে জল পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।