জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে পদক্ষেপ স্বাস্থ্যদপ্তরের, বেড়েছে টেস্টিং
বর্তমান | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: বিগত পাঁচ বছর ধরে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের পর ২০২৪ সালে বীরভূম জেলায় ডেঙ্গু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। শেষ বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ৫২০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সংখ্যাও যাতে আরও কমিয়ে আনা যায়, সেক্ষেত্রে এবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর শুরু থেকেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল। একদিকে বাড়ি-বাড়ি সার্ভের কাজ জোর কদমে চলছে। সেইসঙ্গে টেস্টিংয়ের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এই মূহূর্তে জেলাজুড়ে ছয়টি জায়গায় চলছে টেস্টিংয়ের কাজ। এছাড়াও প্রত্যন্ত বেশকিছু এলাকা থেকে সিরাম সংগ্রহ করার কাজও চলছে। তবে শুধুমাত্র ডেঙ্গু মোকাবিলায় নয়, পতঙ্গবাহিত ম্যালেরিয়া সহ ফাইলেরিয়া ও কালাজ্বর প্রতিরোধেও কাজ চলছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে জেলায় আনুমানিক ৬০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডেঙ্গু মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় গত বছর সেই সংখ্যা প্রায় ৫২০-তে নেমে আসে। স্বাস্থ্যকর্তাদের আশা, নিয়মিত ডেঙ্গু সচেতনতার প্রচার চালালে আগামীতেও তার সুফল মিলবে। সেক্ষেত্রে এবছর শুরু থেকেই একদিকে আশা ও এনএম কর্মীরা গ্রাউন্ড জিরোতে নেমে কাজ শুরু করেছেন। পাশাপাশি ভিলেজ স্যানিটেশন টিম অর্থাৎ ভিএসটি টিমও নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম অর্থাৎ ভিএসটি টিম সাফাইয়ের কাজে জোর দিয়েছে। বর্তমান সময়ে বীরভূম জেলার সিউড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং বোলপুরে ইউপিএসসি-১ ও ২, সিউড়িতে ইউপিএসসি-১ সহ সাঁইথিয়ায় ডেঙ্গুর টেস্ট করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকায় জ্বরে আক্রান্তদের শরীরে উপসর্গ দেখা দিলেই তাঁদের সিরাম সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সেই সিরাম কাছের টেস্টিং সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই পদ্ধতিতে বিগত দিনের তুলনায় টেস্টিং অনেক বেশি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ৬টি ডেঙ্গুর কেস সামনে এসেছে। যদিও বর্তমানে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিগত পাঁচ বছরে জেলায় ডেঙ্গু মৃত্যু শূন্য। সেক্ষেত্রে স্বস্তি অনেকটাই। সেই ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কমিয়ে আনাই এখন জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
এবিষয়ে জেলার ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ মৃণালকান্তি ঘোষ বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় শুরু থেকেই সচেতনতার কাজ চলছে। সেইসঙ্গে টেস্টিং বাড়ানোর দিকেও যথেষ্ট জোর দেওয়া হয়েছে।