সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং: পাহাড়ে ঘুরতে এসে ফের মৃত্যু হল এক পর্যটকের। কালিম্পং জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পর্যটক পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। নাম রাজনারায়ণ দে (৫৫)।
১৫ দিন আগেও কলকাতার এক পর্যটক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গত তিন মাসে পাহাড়ে বেড়াতে এসে ছ’জন পর্যটকের মৃত্যু হল। জিটিএ’র তরফে পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি লাগু করা হলেও পর্যটকের মৃত্যুর ঠেকানো যাচ্ছে না।
কালিম্পং জেলা পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বর্ধমান থেকে আটজনের একটি পর্যটকের দল কালিম্পংয়ে ঘুরতে আসে। রাজনারায়ণ তাদের সঙ্গে ছিলেন। কালিম্পং থেকে তাঁরা সিটং যান। একটি হোমস্টে-তে ওঠেন। রাতে হঠাৎ করে অসুস্থবোধ করেন রাজনারায়ণ। কিছুক্ষণ বাদে তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে সবাই একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেড়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যাওয়ার আগে ঘরের মধ্যে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন রাজনায়ণ দে। সঙ্গীরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে রম্ভি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পর্যটকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কালিম্পং জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুহ্মমণ্যম টি বলেন, একজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁর দেহ বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
ওই পর্যটকদের দলের সদস্য মনোজ মাঝি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। মঙ্গলবার রাতে আচমকা রাজনারায়ণ অসুস্থ হয়। নেবুলাইজার পাম্প নেওয়ার পর ঠিক হয়ে যায়। এদিন সকালে ডাকতে গেলে দেখি ও সংজ্ঞাহীন হয়ে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
গত ৬ জানুয়ারি দীপাঞ্জন সাহা (৫৬)নামে হুগলির এক পর্যটক লামাহাটায় মারা যান। ৪ ডিসেম্বর সান্দাকফু বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু হয় অঙ্কিতা ঘোষ (২৮) নামে এক পর্যটকের। তাঁর বাড়ি দমদমের অশোকনগরের মুকুন্দ দাস রোডে। এভাবে পরপর পর্যটকের মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন।